বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) তাকে এমডি নিয়োগের জন্য অনুমোদন চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাকে এমডি নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ।
এদিকে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় বুধবারের (১৬ জানুয়ারি) পর্ষদ সভায় চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯ মাস আগেই পদত্যাগে বাধ্য হন এমডি সোহেল আর কে হুসেইন।
পর্ষদ সভায় সোহেলের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নতুন এমডি হিসেবে মাশরুর আরেফিনকে নিয়োগের প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের নভেম্বরে সোহেল আর কে হুসেইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এমডি হিসেবে দ্বিতীয়বার দায়িত্ব নেওয়ার পর নানারকম অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
সর্বশেষ গত ১৩ জানুয়ারির পর্ষদ সভায় তাকে এক মাসের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে বুধবারের পর্ষদ সভায় পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। পরে তা সভায় গৃহীত হয়।
নতুন এমডি মাশরুর আরেফিন সিটি ব্যাংকের রিটেইল ব্যাংকিংয়ের প্রধান হিসেবে যোগ দেন ২০০৭ সালে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অতিরিক্তি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) হিসেবে পদোন্নতি পান। ১৯৯৫ সালে গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয়।
সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার বাংলানিউজকে বলেন, মাশরুর আরেফিনের এমডি হিসেবে নিয়োগ দিতে পর্ষদ সভার সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি চলতি দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র বলছে, মাশরুর আরেফিনের বিষয়ে অনাপত্তিপত্র চেয়ে একটি আবেদন কেন্দ্রীয় ব্যাংক গর্ভনরের সচিবালয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৯
এসই/এমএ