ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রোজায় ব্যবসায়ীদের সততার সঙ্গে ব্যবসা করার আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৯
রোজায় ব্যবসায়ীদের সততার সঙ্গে ব্যবসা করার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিসহ অন্যরা

ঢাকা: রমজান মাস সংযমের মাস, এই মাসে ব্যবসায়ীদের সততার সঙ্গে ব্যবসা করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেছেন, আমাদের মজুদ পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। বাজারে পণ্যের দ্রব্যমূল্য নিয়ে আমরা সার্বিকভাবে সন্তুষ্ট।

এবার রমজানে মানুষের উপর চাপ পড়বে না। রোজা সামনে রেখে আমাদের মনিটরিং টিম যথেষ্ট সচেতন আছে।  

একইসঙ্গে রমজানে অসাধু ব্যাবসায়ীদের কোনো সুযোগ না নেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার (০৬ মে) সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (অ্যাটকো) সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের ক্রেতাদের একটি অভ্যাস হলো উৎসব হলে বেশি ক্রয় করে চাহিদা বাড়িয়ে দেওয়া। তারা সব একবারে একসঙ্গে কিনতে চান। ফলে ব্যবসায়ীরা সুযোগ পেয়ে যান। তাই রমজানে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে সংযমী হয়ে চলতে হবে। যথেষ্ট মজুদ আছে, কোনো রকমের ঘাটতি হবে না বলেও জানান তিনি।

টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে বাজারে শাক সবজির দামসহ পিঁয়াজ ও চিনির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে দেশের বাজারে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তেলের দাম দুই টাকা কমিয়েছে। রোজাকে সামনে রেখে ছোলার দাম বাড়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, রমজানে প্রতিদিন মন্ত্রণালয়ের চারটি টিম রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে অভিযান পরিচালনা করবে। তবে এতো বড় বাজার চারটি টিম দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আগামীতে আমাদের জনবল বাড়ানোর জন্য আলোচনা চলছে। রাতারাতি জনবল বাড়ানো যায় না।

বাজারে দ্রব্যমূল্য সহনীয় অবস্থায় আছে। তবে কিছু পণ্যের দাম যেমন দুই এক টাকা বেড়েছে তেমনি কিছু পণ্যের দাম কমেছেও বলেও উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে রমজানের সময় পণ্যের যে দাম ছিল তার চেয়ে এখন দাম অনেকটাই কমেছে। কোনো কোনো জায়গায় দাম বেড়েছে, কিন্তু সব জায়গায় না।

এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, সেটি আমরা দেখছি। চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। আমরা পুলিশ ও প্রশাসনকে বলেছি রাস্তার চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। নইলে তা পণ্যের উপর প্রভাব পড়ে। আমরা শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। এজন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ঠ সবাইকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।