ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাটের রাজস্ব বেড়েছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২২ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাটের রাজস্ব বেড়েছে

চাঁদপুর: দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের অন্যতম চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটে সরকারি রাজস্ব আদায় বেড়ে কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে রাজস্বের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুরে চাঁদপুর-শরীয়তপুর রুটের চাঁদপুর অংশে হরিণাঘাটে গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা যায়, সড়ক সংস্কার ও ফেরি সেবার মান বাড়ানোর কারণে অন্য রুটের যানবাহন বর্তমানে এ ঘাট দিয়েই পার হচ্ছে।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এ রুটে ফেরি সার্ভিস বাড়ানো হলে রাজস্ব আদায় আরও বাড়বে। গত তিনদিনে এ ফেরিঘাট দিয়ে ৬৪১টি ছোট-বড় যানবাহন পার হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাভাবিক নিয়মেই যানবাহন পার হচ্ছে। প্রতি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ওয়ে ব্রিজ স্কেল দিয়ে গাড়ির ওজন পরিমাপ করে রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটে চট্টগ্রাম থেকে বেশি যানবাহন আসে। এর মধ্যে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যাই বেশি। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে যশোর ও খুলনার কয়েটি বাস ট্রান্সপোর্ট নিয়মিত আসা-যাওয়া করে। আগে এ রুটের চাঁদপুর ও শরীয়তপুর অংশে সড়ক মেরামত না করায় যানবাহন পার হওয়ার সংখ্যা ছিল খুবই কম। কিন্তু গত এক বছর আগে সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত করায় যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। যার কারণে অনেক যানবাহন ঢাকা হয়ে অন্য ফেরি দিয়ে না পার হয়ে চট্টগ্রাম থেকে ফেনি ও লক্ষ্মীপুর জেলা দিয়ে চাঁদপুরে আসে এবং খুব দ্রুত সময়ে পার হয়ে যায়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসি) চাঁদপুর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ ফেরিঘাট দিয়ে ২৫ মে ২২৭টি গাড়ি পার হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৪ টাকা। ২৬ মে পার হয়েছে ২২৩টি গাড়ি। রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন লাখ ৫৭ হাজার ১০০ টাকা। ২৭ মে পার হয়েছে ১৯১টি গাড়ি। রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন লাখ ১৮ হাজার ৩০৫ টাকা। গড়ে এখন প্রতি মাসে রাজস্ব আদায় হচ্ছে এক কোটি থেকে সোয়া এক কোটি টাকা। রমজানের আগে কিছু দিনের জন্য পাঁচটি ফেরি ছিল এ ঘাটে। তখন প্রতিদিন রাজস্ব আদায় হয়েছে চার লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা। অন্য রুটে ফেরি প্রয়োজন হওয়া একটি ফেরি নিয়ে যাওয়া বর্তমানে চারটি ফেরি চলাচল করছে।

এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ফেরিঘাট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। নৌ-পুলিশের পাশাপাশি চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ টহল জোরদার করেছে। ঈদের আগে এবং পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফেরি ঘাটের তত্ত্বাবধায়ন করা হবে বলেও জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী।

বিআইডাব্লিউটিসি চাঁদপুর কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) পারভেজ খান বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক ও ফেরি সার্ভিসের মান বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব বেড়েছে। গত ৬ মাস আগেও প্রতিদিন রাজস্ব আদায় হয়েছে এক লাখ থেকে সোয়া লাখ টাকা। বর্তমানে রাজস্ব আদায় হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা।  

তিনি বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ফেরি ঘাটের দুই পাড়ের সড়কগুলো ভালো থাকলে এবং মেরামত করে রাখলে রাজস্ব আদায় আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ  সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৯
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।