বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের বাজেট উত্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক এ বাজেটের আকার ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে বলেন, বজ্রপাত দেশে এখন একটি অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগ আকারে দেখা দিয়েছে। বজ্রপাতের আঘাতে প্রতিবছর অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। পাশাপাশি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইলেক্ট্রিক্যাল যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে প্রতিরক্ষার জন্য লাইটিং অ্যারেস্টারের উপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।
আগুন থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে কর কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে বেশ কয়েকটি বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে শুধুমাত্র মূসক নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে রেয়াতি হারে আমদানির সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি হতে রক্ষার জন্য সব প্রতিষ্ঠানকে রেয়াতি হারে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানির সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
‘এ কারণে মূসক নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মূসক নিবন্ধিত সব সেবা প্রদানকারী যেমন- হোটেল, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানকেও এ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব করছি। তাছাড়া অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি ও উপকরণের তালিকায় আরও কয়েকটি প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও উপকরণ অন্তর্ভূক্ত করার প্রস্তাব করছি। ’
চলতি বছরে রাজধানীর পুনার ঢাকার চুড়িহাট্টা এবং বনানীতে অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা ঘটে। অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে জাতীয় বাজেটে এ বিষয়টি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এমআইএইচ/এসএইচ