ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়বে, আশা এফবিসিসিআইয়ের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়বে, আশা এফবিসিসিআইয়ের সম্মেলন উদ্বোধন করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দেশে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) এফবিসিসিআই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত দু’দিনব্যাপি সিডব্লিউবিটিএ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ট্রেড সামিট-২০১৯ উদ্বোধন শেষে এফবিসিসিআই সভাপতি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান এবং ভারতের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী নেতারা এ সম্মেলনে অংশ নেন।

কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনস এ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সম্মেলন উদ্বোধন শেষে উপস্থাপিত প্রবন্ধে এফবিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ছিল ৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সিডব্লিউবিটিএ’র যেহেতু ১০ লাখেরও বেশি ব্যবসায়ী সদস্য রয়েছেন, তাই এ সম্মেলনের মাধ্যমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এবং সার্ক, বিবিআইএন এবং বিমসটেক সদস্যভূক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

বাণিজ্য বহুমূখীকরণে বাংলাদেশের চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, হিমায়িত সামুদ্রিক খাবার, সিরামিক, পাট পণ্য, তথ্য প্রযুক্তি, মৎস্য এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

সিডব্লিউবিটিএ সম্মেলন উদ্বোধনের পাশাপাশি বাংলাদেশের এ ব্যবসায়ী নেতা ভারতের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে তার অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন।

ভারতকে বাংলাদেশের অন্যতম কৌশলগত উন্নয়ন অংশীদার এবং বৃহৎ বিনিয়োগকারী দেশ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ ফাহিম বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, রেল যোগাযোগ, সড়ক ও পরিবহণ, বস্ত্র শিল্প, ব্যাংক এবং টেলিযোগাযোগ খাতে ভারতের উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে। বাংলাদেশ যেহেতু উন্নত অর্থনৈতিক কাঠামোতে উন্নীত হচ্ছে, তাই যে সব সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ আছে সেগুলো হলো- হালকা, মাঝারি ও ভারি শিল্পের জন্য যৌথ উদ্যোগে উচ্চ প্রযুক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন, তৃতীয় শিল্প বিপ্লব থেকে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে উন্নীতকরণের এ লগ্নে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং রাজস্ব কাঠামো ও নীতি পরিকল্পনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময় এবং তথ্য প্রযুক্তি, ন্যানো টেকনোলজি, রোবোটিক্স, সাইবার নিরাপত্তা, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ইত্যাদি।

এফবিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনা সহজ করতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এফবিসিসিআই কাজ করে যাচ্ছে। এ বছরের শেষে এবং ২০২০ সাল নাগাদ লক্ষণীয় সাফল্য চোখে পড়বে।

বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ এবং অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতি।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এমএএম/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।