ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

হাইটেক সিটিতে বায়ো-টেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
হাইটেক সিটিতে বায়ো-টেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেড। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে ব্লক ২-এ ২৫ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় ৩শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের কথা রয়েছে।
 

রোববার (২১ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় এ প্রকল্প নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

সভায় ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেডের উপস্থাপনায় বলা হয়, উন্নত বিশ্বে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন, জাপানে বায়ো-টেকনোলজি ব্যাপক হারে ব্যবহৃত হচ্ছে।

মূলত, মানব প্লাজমা থেকে বায়োটেক পণ্য উৎপাদিত হয়। এইচআইভি এইডস ও ক্যান্সার রোগের চিকিৎসায় এসব বায়োটেক ওষুধ ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া, সার্স, ইনফ্লুয়েঞ্জা, পা ও মুখের বিভিন্ন সংক্রমণসহ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ প্রতিরোধে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। উচ্চতর প্রযুক্তির এ বায়ো-প্রোডাক্ট তথা জৈব পণ্য উৎপাদন একটি জটিল প্রক্রিয়া। ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেড বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বছরে ১২শ’ টন প্লাজমা বিশ্লেষণে সক্ষম প্ল্যান্ট নির্মাণ করতে চায়। এগুলোর সঙ্গে ২০টি প্লাজমা সংগ্রহ স্টেশন সংযুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ উন্নত বিশ্বের মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে বায়োটেক পণ্য সহজলভ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি এক্ষেত্রে চীনের বৃহত্তম বায়োটেক প্রতিষ্ঠান সিনো ফার্মের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেবে।

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ, প্রায় দুই হাজার জনবলের উচ্চ বেতনে কর্মসংস্থানসহ বায়ো-প্রযুক্তিতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে, যা ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে ব্যাপক অবদান রাখবে বলে উপস্থাপনায় বলা হয়।  

এসময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসময় প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্য সময় ও পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেডকে দ্রুত কাজ শুরু করার তাগিদ দেন ও যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।

এরপর সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেড ও নেটওয়ার্ল্ড হোল্ডিংস লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর আওতায় কোম্পানিটি দুই একর জায়গায় এমআইসিআর চেক বুক উৎপাদন, ক্লাউড সার্ভিস ও বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে প্রাথমিকভাবে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে ও ৫০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেড ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
এসএইচএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।