ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নীলফামারীতে কাঁচা মরিচের ‘দ্বিগুণ ঝাল’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
নীলফামারীতে কাঁচা মরিচের ‘দ্বিগুণ ঝাল’ বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রেতা । ছবি: বাংলানিউজ

নীলফামারী: টানা বর্ষণে কাঁচা মরিচ ও শাক-সবজিসহ বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলছে। ফলে ক্রেতা সাধারণ দিশেহারা হয়ে পড়ছে। ভারী বর্ষণে কর্মজীবী মানুষ বাইরে বেরুতে না পারায় তাদের পকেটের টাকা-পয়সার অবস্থাও অতো ভালো না।

সৈয়দপুর পৌরসভার পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে কাঁচা মরিচ, পটল, বেগুন, শষা, লাল শাক, কলমি শাক, পেঁয়াজ, রসুনসহ সব ধরনের তরিতরকারির দাম বাড়তির দিকে। বাজারে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে বলে  জানান, আড়ৎদাররা।

তারা বলেন, যেটুকু মাল উঠছে তার চেয়ে ক্রেতাই বেশি।

নীলফামারীর সবচেয়ে বড় মোকাম সৈয়দপুর। এখান থেকে মালামাল কিনে মাত্র ১শ’ গজ দূরের খুচরা বাজারে প্রতিকেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা লাভ করছেন দোকানীরা।

আধুনিক পৌর সবজি বাজারের খুচরা দোকানদার নজরুল ইসলাম বাংলানিউকে জানান, পাড়াপাড়ি করে মালামাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই একটু লাভ দরে বিক্রি করছি। তিনি বলেন, খুচরা বাজারে বর্তমানে কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকা, পটল ৪৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, পেঁয়াজ  (দেশি) ৩২ টাকা, রসুন ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কোরবানির ঈদের আগেই আরেক দফা পেঁয়াজ, রসুন ও মসলা জাতীয় জিনিসের দাম বাড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের শাক-সবজির এলাকা হিসেবে পরিচিত শ্বাসকান্দর এলাকার কৃষক আবুজার রহমান জানান, টানা বর্ষণ ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কাঁচা মরিচ, পটল, বেগুন ও শাক- সবজির গাছ মরে যাচ্ছে। কোনোভাবেই ফসলের ক্ষেত টিকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। উৎপাদন কম হওয়ায় এসবের দাম বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।