ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মৃত্যুবিমা দাবির টাকা পেলো ৪৪৩ শ্রমিকের পরিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
মৃত্যুবিমা দাবির টাকা পেলো ৪৪৩ শ্রমিকের পরিবার

ঢাকা: মৃত্যুবিমা দাবির নয় কোটি ১৪ লাখ টাকা পেয়েছে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র ৪৪৩ জন তৈরি পোশাক শ্রমিকের পরিবার। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে এ বিমা দাবির অর্থ পরিশোধ করা হয়। এরমধ্যে বিজিএমইএ পেয়েছে ছয় কোটি ১০ লাখ টাকা আর বিকেএমইএ পেয়েছে তিন কোটি চার লাখ টাকা।

 

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ভারপ্রাপ্ত শ্রম সচিব কে এম আলী আজম বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) ও বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) প্রতিনিধিদের হাতে এ অর্থের চেক তুলে দেন।  

বিজিএমইএ’র পক্ষে চেক গ্রহণ করেন সংগঠনটির পরিচালক নজরুল ইসলম ও বিকেএমইএ’র পক্ষে চেক গ্রহণ করেন সংগঠনটির দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তহবিলের মহাপরিচালক ডা. এ এম এম আনিসুল আউয়াল।  

আলী আজম বলেন, কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে দুর্ঘটনাজনিত ও কর্মরত অবস্থায় স্বাভাবিক মৃত্যুজনিত কারণে বিমার আওতায় শ্রমিকদের দুই লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। মঙ্গলবার আমরা বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে নয় কোটি ১৪ লাখ টাকার বিমা দাবির চেক হস্তান্তর করেছি। এরমধ্যে বিজিএমইএকে দেওয়া হয়েছে ছয় কোটি ১০ লাখ টাকা আর বিকেএমইএকে দেওয়া হয়েছে তিন কোটি চার লাখ টাকা।  

তিনি আরও বলেন, শ্রমিক ও কলকারখানা ছাড়া রাষ্ট্রযন্ত্র চিন্তা করা যায় না। এ খাতে যত দ্রুত উন্নয়ন হবে, দেশও তত দ্রুত উন্নয়ন হবে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সবার সহযোগিতায় এ কাজকে আরও সহজ করে তুলবে।  

শ্রমিকরা যাতে সময় মতো বেতন-ভাতা পান। এ নিয়ে যেন কোনো ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা না ঘটে সে বিষয়ে খেয়াল রাখার জন্য বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র নেতাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। একইসঙ্গে গত রোজার ঈদে সময় মতো বেতন-ভাতা দেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিজিএমইএ’র অধীন কারখানার ২৯২ জন কর্মীকে দুই লাখ টাকা করে মোট পাঁচ কোটি ৮৪ লাখ টাকা দেওয়া হয়।  

এছাড়া বিজিএমইএ’র অধীন স্টার গার্মেন্টস লিমিটেড নামে একটি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ২৬ লাখ টাকা দেওয়া হয়।  

এদিকে, বিকেএমইএ’র অধীন কারখানার কর্মীদের জন্য তিন কোটি চার লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।