ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভ্যাট সার্বজনীন করতে চায় সরকার: এনবিআর চেয়ারম্যান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
ভ্যাট সার্বজনীন করতে চায় সরকার: এনবিআর চেয়ারম্যান

ঢাকা: সরকার ভ্যাট দেওয়াটা সার্বজনীন করতে চায়, এজন্য সব ব্যবসায়ীকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সিরডাপ মিলনায়তনে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ওপর সচেতনতামূলক শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সব ব্যবসায়ীকে নিবন্ধন করতে হবে।

বছরে যারা তিন কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেন, তারা ট্যাক্স দেবেন। আর যাদের তিন কোটি টাকার নিচে লেনদেন, তারা ট্যাক্স দেবেন না। তবে সবাইকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আসতে হবে।

তিনি বলেন, এটি যদি প্রথম ভ্যাট আইন হতো, তাহলে রিঅ্যাকশন থাকতো। দেশে ১৯৯১ সাল থেকে ভ্যাট আইন আছে। এতে আমরা কিছু সংশোধন এনেছি বলে জানান তিনি।

মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, নতুন এ আইনে কোনো ব্যবসায়ীকে হয়রানি করা হবে না। কেউ যদি অবৈধভাবে হয়রানি করতে চায়, আমাদের জানাবেন। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।  

তিনি বলেন, ভ্যাট আদায়ে কারও গলায় পাড়া দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবার নৈতিক দায়িত্ব ট্যাক্স দেওয়া।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার বাড়ছে। অবকাঠামোখাতে উন্নয়ন হচ্ছে। এসব ব্যয় মেটাতে ভ্যাট অপরিহার্য। কেননা দেশে বর্তমানে বিদেশি সহায়তার নির্ভরতা অনেক কম।

তিনি বলেন, অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আদায়ে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালু করতে একটু সময় লাগবে। আমরা ক্রয় করেছি। সবাইকে দিতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু তাই বলে ভ্যাট আদায় বন্ধ থাকবে না। ভ্যাট আদায় করতেই হবে।

কিছু সংশোধনী এনে ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে জানিয়ে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, প্রচলিত ভ্যাট আইনে পৃথিবীর সব দেশে একটা রেট থাকে। আমরা আমাদের ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন রেট করেছি। ভ্যাট কাঠামো নিয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। উন্নত দেশে এর থেকে অনেক বেশি ভ্যাট, ট্যাক্স দিতে হয়। ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
 
ডিসিসিআই প্রেসিডেন্ট ওসামা তাসীর বলেন, বর্তমানে ঘোষিত বাজেট অনুযায়ী, টেক্স জিডিপি অনুপাত আমাদের প্রতিযোগী দেশের তুলনায় অনেক কম। অথচ কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা গেলে সরকার জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অর্থনৈতিক অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তায় ব্যয়ের জন্য অর্থায়ন করার সুযোগ পাবে। তাই জিডিপি অনুপাত বাড়ানোর জন্য রাজস্ব কাঠামো হতে হবে ব্যবসাবান্ধব, রপ্তানিমুখী ও উৎপাদনশীল অর্থনৈতিক সহায়ক।  

তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা ট্যাক্স ভ্যাট দিতে চাই। কিন্তু ভ্যাট ও ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে একটি হয়রানিমুক্ত পরিবেশের নিশ্চয়তা চাই।

ওসামা তাসীর বলেন, উন্নত অর্থনীতির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ জিডিপি অনুপাত ৩০ শতাংশ উন্নীতকরণের ক্ষেত্রে অবকাঠামো উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আমাদের ধারাবাহিক রাজস্ব আয় ও সীমিত সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।  

ডিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ওসামা তাসীরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এনবিআরের সদস্য শাহনাজ পারভীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এসএমএকে/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।