ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতায় আনতে হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯
কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে জবাবদিহিতায় আনতে হবে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ অন্যরা

ঢাকা: কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণ ও যান্ত্রিকীকরণে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের জন্য দ্রুত কাজ করতে হবে এবং কৃষকের কল্যাণের কথা বিবেচনা করে যন্ত্রের পরামর্শ দিতে হবে। এজন্য তিন হাজার ২শ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

কৃষিকে লাভবান করতে হলে কৃষির উৎপাদন খরচ কমাতে হবে, এজন্য যান্ত্রিকীকরণ অপরিহার্য। দেশপ্রেম, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রকল্প সঠিক সময় বাস্তবায়ন করতে হবে।

রোববার (২৮ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক এডিপি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান সভায় সঞ্চলনা করেন। সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় কৃষিখাতে বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম ভালো হওয়ায় মন্ত্রী এ সংক্রান্ত পুরস্কার তাদের হাতে তুলে দেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে উচ্চমাত্রায় মেটাল, ভেজাল এগুলো নির্ণয় করাও কৃষি মন্ত্রণালয় অধীন দপ্তরের দায়িত্ব। নিজেদের তাগিদে এসব কাজ করতে হবে। সব দপ্তরকে অ্যাক্রিডেটে ল্যাবেরটরি স্থাপনেরও তাগিদ দেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ডালের উৎপাদন ভালো হয়েছে, প্রায় ৮ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন, পটুয়াখালী জেলায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন উৎপন্ন হয়েছে। তেলের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার জন্য দেশব্যাপী বৃহৎ প্রকল্প নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী। এবছর মোট তেল উৎপন্ন হয়েছে ৬ লাখ টন।

কৃষিকে বাণিজ্যিকীকরণে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজেদের আরও উদ্যোগী হতে হবে। তরুণ বিজ্ঞানীদের আরও বেশি বেশি ভালো কাজ করতে হবে, তরুণের উদ্যমকে কাজে লাগাতে হবে। এছাড়া সরাসরি কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় এমন কোনো প্রকল্প যেন নেওয়া না হয়। এ বছর ৭ হাজার ৬শ ৩৫ কোটি টাকার সবজি, ৮শ ৩৭ কোটি টাকার বিভিন্ন ফল, ৪৫ কোটি টাকার ফুল বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। এ হার প্রতিনিয়ত বাছরে বলে জানান তিনি।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭২টি প্রকল্পে ১ হাজার ৮শ ৬ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে ১ হাজার ৪শ ৮২ দশমিক ৩৭ কোটি টাকা অবমুক্ত করা হয়েছে। জুন ২০১৯ পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি ৯৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৬৫টি প্রকল্পের জন্য এক হাজার ৭শ ৩৯ দশমিক ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৯ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।