ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্রিটিশ সংস্থার উচিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৯
ব্রিটিশ সংস্থার উচিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসায় ব্রিটিশ বিজনেস গ্রুপ আয়োজিত ব্রেকফাস্ট বৈঠক

ঢাকা: ব্রিটিশ সংস্থাগুলির উচিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা এবং তার তরুণ ও বর্ধমান জনসংখ্যার সুযোগ নেওয়া। কারণ, বর্তমানে বাংলাদেশে জনমিতিক লভ্যাংশের ‘ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ট’ সুযোগ বিদ্যমান।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গুলশানে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বাসায় ব্রিটিশ বিজনেস গ্রুপ আয়োজিত ব্রেকফাস্ট বৈঠকে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।  

তিনি বলেন, জনমিতির পরিভাষায় ডিভিডেন্ড বলতে বোঝায় ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সী মানুষের আধিক্য।

এ বয়সসীমার মানুষই সবচেয়ে কর্মক্ষম, যারা জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন। সেখানে বাংলাদেশে ৬৫ শতাংশ মানুষের বয়স ১৫ থেকে ৫৯ বছরের এর মধ্যে। এই সময়কে জনসংখ্যার বোনাসকাল বলে। আর এই সময়টাতে নিভর্রশীল জনগোষ্ঠী সবচেয়ে কম থাকে। আর সবচেয়ে বেশি থাকে কমর্ক্ষম জনসংখ্যা।

‘চীন, ভারত ও জাপান- এই তিনটি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের মাঝে থাকবে বাংলাদেশ। ২০৩২ সালে পৃথিবীতে এক নম্বর দেশ হবে চীন, দুই নম্বর হবে আমেরিকা, তিন নম্বর হবে ইন্ডিয়া, চার নম্বর হবে জাপান এবং পাঁচ নম্বর হবে জার্মানি। ’ 

দেশের অগ্রগতির তথ্য তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী চলমান অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গত ১০ বছরে ৭ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে সমর্থ হয়েছে এবং এবছর ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আমরা আগামী বছর ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রত্যাশা করছি, যা ২০২৪ সাল নাগাদ দাড়াবে ১০ শতাংশ এবং সেটা অব্যাহত থাকবে।

‘আমাদের রয়েছে প্রতিযোগিতামূলক বেতন-ভাতায় সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য নিবেদিত প্রাণ জনশক্তি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনে স্বল্প ব্যয় ও আমাদের বৃহৎ শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশ সুবিধা। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ও অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্রণোদনার সুযোগ গ্রহণের মাধ্যমে অধিকহারে মুনাফার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। দেশকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিদেশি প্রয়োজন রয়েছে। ’

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে চলমান অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকলে খুব সহসাই বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি অসাধারণ দেশ। এখানে ব্যবসার ক্ষেত্রে যে সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়, সারা বিশ্বে আর কোথাও সে সুযোগ-সুবিধা মিলবে না।

ব্রিটিশ বিজনেস গ্রুপের (বিজিবি) সভাপতি ডি মেরিকোর্ট বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের সংস্থাগুলি বিভিন্ন শিল্পের অন্যতম বৃহত্তম বিনিয়োগকারী যা বাংলাদেশের অগ্রগতিকে সম্পূর্ণ সমর্থন করে চলেছে। বাংলাদেশ এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। ব্রিটিশ সংস্থাগুলি কেবল বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখছে না, বরং তাদের তাদের বিস্তৃত করপোরেট প্রশিক্ষণ কর্মসূচির পাশাপাশি তাদের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষকে দেশের উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা সৃষ্টিতে সহযোগিতা করে চলেছে।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের দীর্ঘকালীন বন্ধু। কিছু ব্রিটিশ সংস্থা ১৯৭১ সালে দেশটির জন্মের পর থেকেই এখানে ছিল। আগামী বছরগুলিতে ব্রিটিশ ব্যবসার উপস্থিতি আশা করছি আরও রাড়বে। আমাদের লক্ষ্য দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি সংকীর্ণ করা। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ব্যবসার পরিবেশ আরও বন্ধুত্বপূর্ণ করা দরকার।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
এমআইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।