ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘অ্যাকর্ডের নতুন নতুন সিদ্ধান্তে পোশাকশিল্প বিপদে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৯
‘অ্যাকর্ডের নতুন নতুন সিদ্ধান্তে পোশাকশিল্প বিপদে’

ঢাকা: ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড-এর জুড়ে দেওয়া নতুন নতুন শর্তের কারণে বিপদে আছে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প। কারখানাগুলোর নকশা, ভবন নিরাপত্তা, অগ্নি-নিরাপত্তার পরীক্ষায় ফেল দেখানো হচ্ছে। তবে নানা প্রতিকূলতার মাঝে শিল্পটি পিছিয়ে নেই। অ্যাকর্ড-এর সঙ্গে নতুন চুক্তির পর থেকেই একচ্ছত্র সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ক্রেতাদের জোটটি।

শনিবার (০৩ আগস্ট) রাজধানীর হোটেল আমারিতে ‘পোশাক শিল্পে ফায়ার সেফটি ইস্যু’ শীর্ষক কর্মশালায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ এর সভাপতি ড. রুবানা হক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অ্যাকর্ড ২০১৩ সাল থেকে আমাদের দেশে কাজ শুরু করে।

এরপর থেকে আমাদের কারখানাগুলোর সেফটির বিষয়টি মাথায় রেখেই বিনিয়োগ করেন শিল্প সংশ্লিষ্টরা। তবে তাদের সঙ্গে আমাদের নতুন করে হওয়া চুক্তিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনা ছাড়াই নতুন নতুন শর্ত জুড়ে দিচ্ছে।

‘এমনকি বিজিএমইএ-এর অজান্তেই গঠন করা হয়েছে অ্যাকর্ডের প্রটোকল। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কারখানা মালিকেরা। ’

শিল্প উদ্যোক্তা ড. রুবানা বলেন, অ্যাকর্ড ১৬০০ কারখানা নিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে গত ছয়বছরে মাত্র ২০০ কারখানাকে সনদ দিয়েছে জোটটি। এর মধ্যে ৪০০ কারখানাকে তারা সতর্ক করেছে। চুক্তির শর্তভঙ্গের কারণে আমাদের বিনিয়োগ বন্ধের পাশাপাশি বড় সংখ্যক কারখানার শ্রমিকেরা বেকার হয়ে যেতে পারেন। এতে আমাদের যে লক্ষ্য সেখান থেকে আমরা অনেক দূরে চলে যাবো।

তার অভিযোগ, অ্যাকর্ড ২০১৩ সাল থেকে কাজ শুরু করলেও তাদের দেওয়া নতুন নতুন শর্ত আমাদের জন্য বিপদের কারণ হতে পারে। তারা আমাদের ভালোর জন্য কাজ করতে এসেছেন, তবে সেটি হতে হবে সবার সমন্বয়ে।  

‘যে কাজটি তাদের পাঁচবছর আগে করার কথা ছিল, সেটি তারা এখন করছেন। অ্যাকর্ডের এসব একতরফা সিদ্ধান্ত বন্ধ হওয়া উচিৎ। ’

কর্মশালায় অ্যাকর্ডের প্রতিনিধি ও বিজিএমইএ-এর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯ 
ইএআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।