ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রণোদনায় ২০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের আশা অর্থমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
প্রণোদনায় ২০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্সের আশা অর্থমন্ত্রীর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রেমিট্যান্সে দুই শতাংশ প্রণোদনা দিলে চলতি অর্থবছরে ২০ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

বুধবার (৭ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক বিষয়ক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।

প্রসঙ্গত, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দিলে রেসিট্যান্স পাঠানোর হার বেড়ে যাবে। একসময় ইতালি, সৌদি আরবসহ কিছু দেশ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে আগে চার্জ নিতো না। এখন তারা চার্জ বসিয়েছে। তাই প্রবাসীরা হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছে। এ প্রণোদনা দেওয়ার ফলে তারা আর হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাবে না। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে সেটি বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলাব হবে বলে আশা করছি।

রেমিট্যান্স প্রেরণকারীদের কীভাবে প্রণোদনা দেওয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাবে সে ব্যাংকগুলোই তাদের প্রণোদনার অর্থ দেবে। রেমিট্যান্স প্রেরণকারীরা ১০০ ডলার পাঠালে ব্যাংকগুলো তাদের ১০২ ডলার দেবে। পরবর্তীতে ব্যাংকগুলোকে সরকার সে অর্থ পরিশোধ করে দেবে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, কোনো প্রবাসী এক হাজার ৫০০ ডলার রেমিট্যান্স পাঠালে তাকে কোনো প্রশ্ন না করে পাঠানো অর্থের বিপরীতে শতকরা দুই শতাংশ আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমান বাজেটেও এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কেউ যদি এর বেশি অর্থ পাঠায় তার কাছে কিছু কাগজপত্র চাওয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করছে।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্সের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ১ হাজার ৬৪২ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল ১ হাজার ৫৩১ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার।  

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯ 
জিসিজি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।