ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বরিশালে বিনা ধানের বাম্পার ফলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
বরিশালে বিনা ধানের বাম্পার ফলন

বরিশাল: কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে সরবরাহ করা বিনা ধান-১৯ আউশের বীজ বপন করে মাত্র ৯০ থেকে একশ’ দিনের মধ্যেই বাম্পার ফলন পেয়েছেন জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের চাষিরা। সেখানে একর প্রতি ৪০ মণ বিনা ধানের ফলন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বিনা ধান কর্তন ও মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এদিন বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল বিনা ধান সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ধান কর্তন ও কৃষকদের নিয়ে মাঠ দিবস কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

কর্মসূচিতে বিনা ধান উৎপাদন করে সফল হওয়া চাষি আব্দুল জলিল বলেন, আমাদের বিনা ধান-১৯ (আউশ) এর বীজ কৃষি বিভাগ থেকে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। ওই বীজ বপনের মাত্র ৯০ থেকে একশ’ দিনের মধ্যেই আমরা জমিতে বাম্পার ফলন পেয়েছি। কিন্তু ফলন উৎপাদন করতে গিয়ে আমাদের যে পরিমাণ খরচ হয়েছে, সে অনুপাতে আমরা বাজারে ধান বিক্রি করতে পারছিনা। বর্তমানে ধানের বাজারে চারশ’ টাকা দরে প্রতিমণ ধান বিক্রি করতে হয়।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে প্রতি একরে গড়ে ৪০ মণ করে ধান হয়েছে। আমি সাত একর জমিতে বিনা ধান-১৯ (আউশ) চাষ করেছি।

কৃষক জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, পূর্বে আমার ২৮ শতক জমিতে ১০ থেকে ১২ মণ আউশ ধান পাওয়া যেত। এছাড়া বাকি সময় জমি অনাবাদিই পরে থাকতো। এখন বিনা ধান-১৯ চাষ করার পাশাপাশি আউশ, মশুর ও আমন ফসল ফলাতে পারছি। ফলে এখন আর আমার জমি অনাবাদি পরে থাকেনা।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক সাইনুর আজম খান বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। আমাদের দেশে তিনশ’ মেট্রিক টন চালের প্রয়োজন থাকলেও এবার চারশ’ মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হয়েছে। অন্যদিকে এত পরিমাণ চাল রাখার মতো সরকারের সেরকম কোনো গুদাম না থাকার কারণে কৃষকদের কাছ থেকে সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান ক্রয় করতে পারেনি। কারণ ধান ক্রয় করে সরকারের সেই ধান রাখার কোনো গুদাম নেই।  

কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের জমিতে ভালো ফসল পেতে হলে ভালো মানের বীজ রোপন করতে হবে।

সভার শুরুতে কৃষি বিভাগ থেকে পাওয়া বিনা ধানের বীজ থেকে চাষিদের যে বাম্পার ফলন হয়েছে তা কৃষি কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কর্তন ও মাড়াই করে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।  

চাঁদপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান স্বপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বীজ প্রত্যায়ন অ্যাজেন্সি (ডিএসসিও) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, বাবুগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মরিয়ম আক্তার প্রমুখ।  

বক্তব্য রাখেন রহমতপুর বিনা উপ-কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ড. বাবুল আকতার, ফলজ গবেষণা সম্প্রসারণ বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এমদাদুল হক, কৃষক আমিনুল ইসলাম, আব্দুল জলিল প্রমুখ।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এমএস/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।