ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শীতের আগাম সবজির দখলে বগুড়ার হাট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
শীতের আগাম সবজির দখলে বগুড়ার হাট হাটে শীতের আগাম সবজি মুলা দেখছেন এক ক্রেতা। ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: বগুড়ায় হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন আগাম সবজি। আগাম সবজি বাজারে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কৃষকরা। এছাড়া আগাম এসব সবজি কিনতে বগুড়ার মহাস্থান হাটে ভিড় করেছেন পাইকারসহ স্থানীয়রা।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মহাস্থান হাটে দেখা যায়, কৃষকদের চাষ করা শীতকালীন আগাম সবজিতে ভরে গেছে গোটা হাট। শনিবার হাট বার হওয়ায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ হাটের বেচাকেনা।

শীতকালীন আগাম সবজিরগুলোর দামও কম। হাটে প্রতিপিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, বাঁধাকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, মুলা প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, প্রতিকেজি সিম ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ২৫ টাকা, করলা ২৫ থেকে ৩৫ টাকা ও লাউ প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা।
হাটে শীতের সবজি ফুলকপি।  ছবি: বাংলানিউজএ হাটের সবজি বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষের চাহিদা পূরণ করে প্রতিদিন রাজধানীর বাজারে সবধরনের শীতকালীন আগাম সবজি চলে যায় পাইকারদের মাধ্যমে।

আমজাদ হোসেন, দবির মিয়া, রফিকুল ইসলাম, হায়দার আলী নামে কয়েকজন কৃষক বাংলানিউজকে বলেন, সবজির ভালো দাম পাওয়ার আসায় চাষিরা আগেই আবাদ করেছে শীতকালীন আগাম সবজি।

হাটে সবজি কিনতে আসা সালাম, বজলু, শাহী আলম, চন্দন বাংলানিউজকে বলেন, শীতকালীন আগাম চাষ করা সবজির চাহিদা বেশি। তাই শীত আসার আগেই শীতকালীন সবজি কিনতে হাটে এসেছি।
 হাটে শীতের সবজি করলা।  ছবি: বাংলানিউজবগুড়া সদর উপজেলার রহমাননগর থেকে হাটে সবজি কিনতে আসা আব্দুল জলিল বাংলানিউজকে বলেন, নতুন সবজি বাজারে এসেছে। দামও কম তাই অল্প অল্প করে সব ধরনের শীতকালীন আগাম সবজি কিনেছি।

মহাস্থান হাটের পাইকাররা জানান, এ হাট থেকে সবজি কিনে তারা দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করার পাশাপাশি খুচরা বিক্রি করে থাকেন।
হাটে শীতের সবজি বাঁধাকপি।  ছবি: বাংলানিউজপাইকার সবজি ব্যবসায়ী জলিল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এ হাটের শীতকালীন আগাম সবজি কিনে পরিবহনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলাতে নিয়ে যাই। বিশেষ করে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোর বাজারে। এ সবজি গুলো প্রতি কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে খুচরা বাজারে বিক্রি করি।  

পরিবহন ভাড়া তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ী তেমন লাভের মুখ দেখতে পান না বলেও জানান জলিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
কেইউএ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।