ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১৭৩৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার তিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০১৯
১৭৩৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকার তিন ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের একথা জানান

ঢাকা: চট্টগ্রাম জেলার বারৈয়ারহাটে ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট তিনটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭৩৯ কোটি ৬৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা।

বুধবার (০২ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ২০তম ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম সাংবাদিকদের একথা জানান।

শফিউল আলম বলেন, বেসরকারিখাতে চট্টগ্রাম বারৈয়ারহাট ১৩২/৩৩ কেভি সাবস্টেশনের কাছে ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

২০ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪১৮ কোটি ৪০ লাখ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড।

প্রকল্পের বিস্তারিত জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রাইভেট সেক্টর পাওয়ার জেনারেশন পলিসি ১৯৯৬ এর আওতায় বিল্ড ওন অ্যান্ড অপারেট (বিওও) ভিত্তিতে আইপিপি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় এই সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ঊন্মুক্ত পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করলে ২টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। তাদের মধ্যে কনসোর্টিয়াম অব আইবি ভোগট জিএমবিএইচ অ্যান্ড এজি অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে ২০ বছর মেয়াদে নো-ইলেকট্রিসিটি, নো-পেমেন্ট ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠকে অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- ‘এক্সপোর্ট কসপিটিবনেস ফর জবস’ প্রকল্পের একটি প্যাকেজের সেবার জন্য পরামর্শক নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪২ কোটি ৮১ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পিইসি প্রস্তুত ৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে ৩টি প্রতিষ্ঠান কারিগরি ও আর্থিক প্রস্তাব দাখিল করে চূড়ান্ত মূল্যায়নে ২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে আইএমসি ওয়ার্ল্ডওয়াইড লিমিটেডকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়) তৃতীয় সংশোধিত প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের মহেশখালী চ্যানেল পাড়ে ও বাঁকখালী নদীর তীরে স্লোপ প্রতিরক্ষাসহ অন্যান্য কাজের ভেরিয়েশনজনিত ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ৮৬ কোটি ৭১ লাখ ৬৫ হাজার টাকার খরচ বাড়িয়ে মোট খরচ ধরা হয়েছে ২৭৮ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এর আগে মূল চুক্তিতে ১৯১ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল।

প্রকল্পের বিস্তারিত থেকে জানা গেছে, বিমানবন্দর সস্প্রসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকায় বসবাসরত ভূমিহীন পরিবারকে খুরুশকুল মৌজায় পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবায়নাধীন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অগ্রাধিকারভুক্ত ‘আশ্রয়ন-২’ প্রকল্পের মহেশখালী চ্যানেল পাড়ে ও বাঁকখালী নদীর তীরে স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজ  ডিপিএম পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেড নারায়ণগঞ্জের অনূকুলে ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরের সিসিজিপি অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।