ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমেছে সবজির দাম, অপরিবর্তিত চাল-ডাল-মাছ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
কমেছে সবজির দাম, অপরিবর্তিত চাল-ডাল-মাছ

ঢাকা: গত কয়েক মাস ধরেই বাড়তি সবজির বাজার। কোনোভাবেই দাম কমছিল না। পাইকারি বাজারে কিছুটা দাম বাড়লে, খুচরাতে বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তবে এবার ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে সবজি। প্রকারভেদে ৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে নানা সবজিতে। সবজির দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, ডিম, মাছ, গরু ও খাসির মাংসের বাজার। তবে কিছুটা বেড়েছে মুরগির দাম।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান কাঁচা বাজার, মালিবাগ বাজার, মালিবাগ রেলগেট বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা আর গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। এক সপ্তাহ আগে এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, গাজর ৭০ থেকে ১০০ টাকা আর সিম বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে।

একইভাবে কেজিপ্রতিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে পটল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, উস্তা-ঝিঙা-ধুন্দুল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাকরোল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা, শসা (প্রকারভেদে) ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুর লতি ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।  

এছাড়া আকারভেদে প্রতিপিস বাঁধা কপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, ফুল কপি ২০ থেকে ৩০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তবে অপরিবর্তিত আছে কাঁচা মরিচের দাম। এসব বাজারে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে কাঁচা মরিচ। গত সপ্তাহে এ দামে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। সবজির সঙ্গে কিছুটা কমেছে শাকের বাজার। এসব বাজারে প্রতিআটি লাল শাক ১০ থেকে ১২ টাকা, মুলার শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কুমড়ার শাক ২৫ থেকে ৩০ টাকা, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা আটি বিক্রি করতে দেখা গেছে।

সবজির দাম কমা নিয়ে কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল হান্নান বলেন, কাঁচা বাজারে দাম উঠা-নামা করে। এর সঙ্গে সরবরাহের যোগসূত্র রয়েছে। সরবরাহের পরিমাণ বাজারে বেশি হলে দাম কমে যায়। এখন বাজারে সবজির সরবরাহ বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। তবে সরবরাহ কম হলে আবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তবিবুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, গত কয়েক মাস ধরে সবজির দাম বাড়তি ছিল। তবে আজ বাজারে সবজির দাম কিছুটা কম মনে হলেও তা পর্যাপ্ত না। বাজারে সবজির সরবরাহের তুলনায় দাম আরও কম হওয়া উচিত।

অন্যদিকে সবজির দাম কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে চাল, ডাল, ডিম, মাছ ও মাংসের বাজার। এসব বাজারের প্রতিকেজি (আকারভেদে) রুই ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, পাঙাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, কই ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এছাড়া কেজিপ্রতি দেশি চিংড়ি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, শিং ৩০০ থেকে ৬৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৪৪০ থেকে ৮৫০, বাইন মাছ (দেশি) ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাইন মাছ (নদী) ৫০০ থেকে ৮৫০ টাকা, বাইলা ৪০০ থেকে ৬৫০ টাকা, কাচকি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, মলা ২৫০ থেকে ৩০০, পুটি (দেশি) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে প্রতিকেজি গরু ও মহিষের মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, খাসি ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা, ছাগী ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে কেজিপ্রতিতে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মুরগির। এসব বাজারে প্রতিকেজি বয়লার ১৫০ টাকা, লেয়ার (সাদা) ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, লেয়ার (লাল) ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অপরিবর্তিত আছে ডিম, ডাল, চাল ও ভোজ্য তেলের দাম।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।