ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শেষ হলো হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
শেষ হলো হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল

ঢাকা: তাঁত পণ্যের ব্যবহার, প্রচার, প্রসার, বাজারজাতকরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রস্তুতকারক, ডিজাইনার, ক্রেতাদের মধ্যে মেলবন্ধন স্থাপন ও ঐতিহ্যবাহী তাঁত পণ্য বিলুপ্তি রোধে আয়োজিত চারদিনের ‘হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল-২০১৯’ শেষ হয়েছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের খাজানা গার্ডেনিয়া গ্রান্ড হলে এ হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যালের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বিশেষ অতিথি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল হালিম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি ও সাবেক সিনিয়র সচিব সুরাইয়া বেগম।

সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন কেএম হাবিব উল্লাহ।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, তাঁত শিল্পকে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এ শিল্পের উন্নয়নে সরকার যথেষ্ট পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশে টেক্সাটাইল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। তাঁতীদের জন্য বিভিন্ন ঋণ কর্মসূচি চালু করেছে। দক্ষতা উন্নয়নে দেশের বিভিন্নস্থানে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট করা হয়েছে। তাঁত শিল্পের উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এসএমই ফাউন্ডেশন ও অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স অব বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মেলা প্রতিদিনি সকাল দশটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। তবে ২৪ অক্টোবর শুধুমাত্র বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করা হয়েছে তাঁত পণ্য।

সমাপনী অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স অব বাংলাদেশের সভাপতি মানতাশা আহমেদ বলেন, সব সময় তাঁত পণ্য বিক্রয়ের জন্য অনলাইন শপ, বিমানবন্দরে দোকান বরাদ্দ, প্রতিটি বিভাগে তাঁত মিউজিয়ামমের সঙ্গে কটেজ ইন্ডাস্ট্রি শপ, বছরে একবার তাঁত সপ্তাহ পালন, তাঁত পণ্যের প্রচারের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মেলার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
 
এবারের উৎসবে মোট ৪৫টি স্টলে ঐতিহ্যবাহী নকশিকাঁথা, বেনারসি শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানি শাড়ি, সিরাজগঞ্জের শাড়ি-লুঙ্গি-গামছা, মণিপুরি কাপড়, রাঙ্গামাটির চাকমাসহ অন্যান্য কাপড়, খাদি, রাজশাহী সিল্ক, পাটজাত পণ্য, শতরঞ্জি পণ্য, বাশ-বেত পণ্য পট চিত্রসহ ১৫ ধরণের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হয়।
 
তাঁতীদের উৎপাদিত পণ্যের পাশাপাশি ও দেশের শীর্ষস্থানীয় চিত্রশিল্পী ও ডিজাইনারদের তৈরি আর্কষণীয় দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য বুনন প্রক্রিয়াও প্রদর্শন করা হয়। উৎসবে লেকাজ শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনা, ফ্যাশন শো, সেমিনার, ক্রেতা-বিক্রেতা ও ম্যাচমেকিংয়ের ওপর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
  
বাংলাদেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে তাঁত পণ্য ও তাঁতীদের সার্বিক কল্যাণের মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উন্নয়নে তাঁত পণ্য প্রদর্শনে এসএমই ফাউন্ডেশন ও অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার্স অব বাংলাদেশ যৌথভাবে এ ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
এসই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।