ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে উন্নতি, বিডার অভিনন্দন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৯
ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে উন্নতি, বিডার অভিনন্দন 

ঢাকা: বিশ্বব্যাংকের ইজ অব ডুয়িং বিজনেস বা সহজে ব্যবসা করার সূচক-২০২০ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের আটধাপ অগ্রগতির জন্য সহযোগিতামূলক বিশেষ অবদান রাখায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান জনাব মো. সিরাজুল ইসলাম।

বুধবার (০৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিনন্দন জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি দেশে ব্যবসা করা কতটা কঠিন কিংবা সহজ প্রতি বছর তারই সূচক তৈরি করে বিশ্বব্যাংক।

মে থেকে শুরু করে পরের বছর এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাণিজ্য সহজীকরণে সরকারের নেওয়া উদ্যোগ বিশ্লেষণ করে এই তালিকা করা হয়। দেওয়া হয় পয়েন্ট বা স্কোর। এর ধারাবাহিকতায় ২৪ অক্টোবর বিশ্বব্যাংক  ইজ অব ডুয়িং বিজনেস বা সহজে ব্যবসা করার সূচক- ২০২০ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে আট ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯০টি দেশের মধ্যে এখন ১৬৮তম। আট ধাপ অগ্রগতির পাশাপাশি উন্নতিতে সেরা ২০টি দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৬তম। ব্যবসা সংশ্লিষ্ট ১০টি পৃথক মানদণ্ডে বিচার করে এই সূচক তৈরি করা হয়।   বিশ্বব্যাংকের সহজে ব্যবসার সূচকে এবারই প্রথম এত বেশি অগ্রগতি হলো বাংলাদেশের। বিশ্বব্যাংকের ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’ রিপোর্টে ২০২০ (ব্যবসা করার সূচক) অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশ ১০০ নম্বরে স্কোর করেছে ৪৫।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন,  ব্যবসা  কিংবা শিল্প আমাদের দেশের একেকটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। কারণ আমাদের আরও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন চাই, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ কর্মসংস্থান চাই এবং  সেই সঙ্গে  টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার মাথাপিছু রোজগারও বৃদ্ধি করতে হবে। এসব কিছু তখনই সম্ভব, যখন দেশে অধিক হারে বিনিয়োগ আসবে। শিল্প এবং ব্যবসা সঠিক লক্ষ্যে যথাযথ গতিতে এগিয়ে চললে সাধারণ মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হবেন।

ইজ অব ডুয়িং বিজনেস বা সহজে ব্যবসা করার সূচক-২০২০ এর অগ্রগতিতে যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি),  বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড,  বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও  ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের অবদানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে সবার অক্লান্ত সহযোগিতার মাধ্যমেই এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আগামীতে এই পথ আরও প্রশস্ত এবং  গতিশীল হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
এসএমএকে/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।