ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পেঁয়াজের অস্বস্তিতে স্বস্তি শাকসবজি-মাছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
পেঁয়াজের অস্বস্তিতে স্বস্তি শাকসবজি-মাছে ফাইল ফটো

ঢাকা: পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে ক্রেতাদের। জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি দেশ থেকে প্লেনে করে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে, তবুও এখনো নাগালের বাইরে এর দাম। তবে চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। এ মাসে মাছ ও শাকসবজিতে স্বস্তি মিলেছে কিছুটা। ফলে সেসময় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এর আগের মাসে এই হার ছিল ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি দশমিক ৩০ শতাংশ কমেছে মূলত মাছ ও শাকসবজির দাম কম হওয়ায়। তবে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এ তথ্য জানান।

মূল্যস্ফীতি কমার কারণ সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাজারে প্রচুর শীতকালীন সবজি উঠেছে, আমন ধান উঠে গেছে।

যার কারণে মূল্যস্ফীতি কমেছে। বাজারে মাছের দামও কম।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সূত্রে জানা গেছে, গত ডিসেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমলেও ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর আগের মাসে যা ছিল ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ। বছরওয়ারি পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে ডিসেম্বর মাসে ডাল, চিনি, মুড়ি, মাছ, মাংস, ব্রয়লার মুরগি, ফল, সবজি তামাক, দুগ্ধজাতীয় পণ্যসহ অন্য খাদ্য সামগ্রীর দাম কমেছে। মাসওয়ারি ডিম, শাকসবজি ও মসলা জাতীয় পণ্যের দামও কম বলে দাবি বিবিএসের।

তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। ডিসেম্বর মাসে এখাতে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ হয়েছে। গত নভেম্বর মাসে তা ছিল ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। বাড়িভাড়া, আসবাবপত্র, গৃহস্থলী, চিকিৎসাসেবা, পরিবহন, শিক্ষা উপকরণসহ বিবিধ সেবাখাতে মূল্যস্ফীতির হার ঊর্ধমুখী হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এমআইএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।