ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে অর্ধেক মুনাফা পাবে গ্রাহক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে অর্ধেক মুনাফা পাবে গ্রাহক

ঢাকা: সঞ্চয়পত্রের উৎসে কর ৫ শতাংশ বাড়ানোর পর এবার ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে সুদের হার কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়েছে সরকার। এতোদিন তিন বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে জনগণ সুদ পেতেন ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এখন থেকে সুদ পাবের ৬ শতাংশ। অর্থাৎ ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে এতোদিন যে পরিমাণ সুদ পেতেন গ্রাহক এখন থেকে তার প্রায় অর্ধেক মুনাফা পাবেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বৃহস্পতিবার থেকেই এটি কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তিন বছর মেয়াদের ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শাতংশ। আগে যা ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ।  দুই বছর মেয়াদের সঞ্চয়পত্রে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ। আগে যা ছিল ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ। এছাড়া এক বছর মেয়াদে সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ শতাংশ। আগে যা ছিল ১০ দশমিক ২০ শতাংশ।

এছাড়া আমানতকারী ইচ্ছা করলে প্রতি ৬ মাস অন্তর মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ১ম বছরে ৪ শতাংশ, ২য় বছরে সাড়ে ৪ শতাংশ এবং ৩য় বছরে ৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন। আগে যা ছিল যথাক্রমে ১ম বছরে ৯ শতাংশ, ২য় বছরে সাড়ে ৯ শতাংশ এবং ৩য় বছরে ১০ শতাংশ।

এদিকে সঞ্চয়পত্র বিনিয়োগে নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে উৎসে কর বাড়ালেও এখনো ডাকঘর সঞ্চয়পত্র ছাড়া অন্যান্য সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমায়নি সরকার।

উল্লেখ্য, নানা শর্তে কমছে সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণ। চলতি (২০১৯-২০) অর্থবছরের পঞ্চম মাসে (নভেম্বর) সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে ৩২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আগের বছর একই মাসে বিক্রি হয় তিন হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২০
জিসিজি/আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।