ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২০
১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো

ঢাকা: দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য কাজ করছে বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন।             

মঙ্গলবার (০৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্মেলন কক্ষে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও আইপিডিসি ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার ও তহবিল দাবি করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির সংস্কারের জন্য একটি নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা চেয়েছেন।

আগামী সপ্তাহে এই প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন গর্ভনর। সংস্কারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকও কাজ করছে।           

মোমিনুল ইসলাম বলেন, পিপলস লিজিংয়ের ঘটনায় আমানতকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিংযের অবস্থা ভালো না। এসব প্রতিষ্ঠানের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল চেয়েছে দেশের ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।        

তিনি বলেন, দেশের ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬টির অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে সবগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে। দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনঃসংস্কারের বিষয়ে বাংলাদেশ এটি নীতি নির্ধারণী প্রস্তাবনা চেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ে কাজ করবে।       

তিনি আরো বলেন, আর্থিক খাতের দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত করা যায় কিনা সে বিষয়ে ভাবছি। আর্থিক খাতের অবস্থা ভয়াবহ রকমের খারাপ নয় দাবি করে মমিনুল ইসলাম বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যেই বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করবে দেশবাসী।

শক্তিশালী আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বলদের একীভূত করার বিষয়ে রাজি কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সবলদের ব্যবসাতেও প্রভাব পড়ছে। তাই দুর্বলদের একীভূত করে সামনে এগোতেও একমত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানগুলো। কারণ প্রতিবেশীর ঘরে আগুন লাগলে নিজের ঘরকে বিপদমুক্ত ভাবার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, আর্থিক খাতে আস্থা ফেরাতে নতুন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় কিনা সে বিষয়ে পরামর্শ হয়েছে। তবে কোন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর এসএম মনিরুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম, ১১টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২০                 
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।