ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনার প্রভাবে কারখানা বন্ধের উপক্রম, চলছে শ্রমিক ছাঁটাই

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২০
করোনার প্রভাবে কারখানা বন্ধের উপক্রম, চলছে শ্রমিক ছাঁটাই

নীলফামারী: করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে নীলফামারীর শিল্প বাণিজ্য শহর সৈয়দপুরে। নতুন করে কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানি বন্ধ থাকায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একাধিক কল-কারখানা। শ্রমিক ছাঁটাইও অব্যাহত রয়েছে কারখানাগুলোতে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুরে অবস্থিত ননস্টিক তৈজসপত্র ও প্রেসার কুকার তৈরির কারখানা ‘রয়েলেক্স মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ’ প্রায় বন্ধের উপক্রম। ইতোমধ্যে কারখানাটির তিনটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে।

কারণ হিসেবে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের কারণে চীন থেকে কাঁচামাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে ওই কারখানার মালিক ইলেকট্রিক সামগ্রী, গ্যাস চুলা, ব্লেন্ডার মেশিন, প্রেসার কুকার, ননস্টিক তৈজসপত্র উৎপাদন বন্ধ রেখেছেন।  

নোয়াহ্ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজকুমার পোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের যে কাঁচামাল তা চীন থেকে আমদানি হয়ে থাকে। আমদানিকৃত ওইসব কাঁচামালের স্টক ফুরিয়ে যেতে বসেছে। নতুন করে আমদানিও বন্ধ রয়েছে। ফলে কারখানাটির ১৮টি ইউনিটের তিনটি ইউনিট বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলো বন্ধের উপক্রম হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সৈয়দপুরের আরও চারটি তৈজসপত্র কারখানা কাঁচামালের অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এরফলে ওই খাতে চার হাজার মানুষ বেকার হতে বসেছে।

তৈজসপত্র ছাড়াও সৈয়দপুরের দুটি প্লাইউড কারখানাও কাঁচামাল সঙ্কটে পড়েছে। এসব কারখানার কাঁচামালও চীন থেকে আমদানি করা হয়।  

সৈয়দপুর বাইপাস সড়কের আহমেদ প্লাইউড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফতাব আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, কাঁচামালের অভাবে যেকোনো সময় আমাদের কারখানাটি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।  

নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির সভাপতি মারুফ জামান কোয়েল বাংলানিউজকে জানান, কেবল সৈয়দপুরের কারখানাগুলো নয় করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে উত্তরা ইপিজেডেও। এখানকার অনেক কারখানা শ্রমিক ছাঁটাই অব্যাহত রেখেছে। এর প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতেও।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।