ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘ব্লু ইকোনমির বিকাশে বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম যুগপৎ কাজ করবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
‘ব্লু ইকোনমির বিকাশে বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম যুগপৎ কাজ করবে’

ঢাকা: ব্লু ইকোনমির বিকাশে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম যুগপৎ কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ব্লু ইকোনমির সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে আমরা ভিয়েতনামে সামুদ্রিক মৎস্য রপ্তানি করতে পারি। মাংস রপ্তানিতেও আমাদের সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা যৌথভাবে এ ব্যাপারে কাজ করতে চাই।

রোববার (৮ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দফতরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সাক্ষাৎ করতে এলে এ কথা জানান মন্ত্রী। পারস্পারিক আলোচনা শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূতের হাতে মুজিবর্ষের স্মারক তুলে দেন এবং ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীর হাতে ভিয়েতনামের ঐতিহ্য সম্বলিত একটি ক্রেস্ট তুলে দেন।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, যুগ্মসচিব মো. তৗেফিকুল আরিফ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার এবং বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এস এম রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত বলনে, ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ খাতে বিভিন্ন ধরনের তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে উভয় দেশের সর্ম্পক আরও গভীর হতে পারে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে ভিয়েতনামের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছর ভিয়েতনামের কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও মন্ত্রীকে অবহিত করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যে সর্ম্পক অত্যন্ত চমৎকার। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম উভয় দেশই র্দীঘ সংগ্রাম করে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। তাই দু’দেশের  মধ্যে ঐতিহাসিক মিল রয়েছে। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জায়গাও উভয় দেশের মধ্যে অনেক যোগসূত্র রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভিয়েতনামের সঙ্গে বাংলাদেশের সর্ম্পক জোরদারে সবসময় গুরুত্ব আরোপ করেন।

মন্ত্রী আরও বলনে, দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ রক্ষা করে সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতা নয়-এটি বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি। বিদেশি বিনিয়োগ স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত। ভিয়েতনামের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত আছি। এটা হতে পারে দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ, আমদানি-রপ্তানি, মানবসম্পদ ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে যৌথ ওর্য়াকিং গ্রুপ তৈরি করে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মধ্যকার সম্ভাবনাময় খাতগুলো চিহ্নিত করা যেতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০ 
জিসিজি/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।