ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনার প্রভাবে বাজারে নেই ‘সেই’ কোলাহল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
করোনার প্রভাবে বাজারে নেই ‘সেই’ কোলাহল ক্রেতাশূন্য বাজার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার হলো কারওয়ানবাজার। প্রতিদিনই এখানে লাখো মানুষের চলাফেরা। তাদের কেউ আসেন মালামাল বেচা-বিক্রি, কেউ আসেন কেনার জন্য। সবসময় কোলাহলপূর্ণ থাকে এই বাজার। তবে সোমবার (৩০ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। এখানকার চালের আড়ৎ, খুচরা মাছ বাজার, মুদি কিংবা সবজির বাজারে নেই তেমন ক্রেতা। নেই সেই আগের মতো কোলাহল।

একই চিত্র দেখা গেছে মগবাজারের চারুলতা মার্কেট, বাংলামটর ঢাল ও কাঁঠাল বাগান বাজারে। অনেক দোকানিকে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।

বিক্রেতারা বলছেন, ঢাকায় মানুষের সংখ্যা কমেছে তাই বিক্রির পরিমাণ কম। এ কারণে তারা দোকানে মালামাল আনছেন কম। অন্যদিকে রাস্তায় রাজত্ব রয়েছে রিকশার। প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষের একমাত্র বাহন এখন এটি। তবে দু’একটি ব্যক্তিগত গাড়ি চললেও নেই দূরপাল্লা কিংবা গণপরিবহন। ক্রেতাশূন্য বাজার।  ছবি: বাংলানিউজসোমবার সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। মহামারি করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। দেশের মধ্যেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪০’র ওপরে। অন্যদিকে করোনা আতঙ্কে শিল্প কলকারখানা বন্ধ রয়েছে। আতঙ্ক নিয়ে রাজধানী ছেড়েছেন অধিকাংশ মানুষ। যারা আছেন তারা প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বেরোচ্ছেন না। আর এসব কারণে নিত্যপণ্যের বাজারগুলো অনেকটাই ফাঁকা। কমে গেছে তাদের বেচা-বিক্রি।

কথা হয় কারওয়ান বাজারের চাল বিক্রেতা ও সিরাজ অ্যান্ড সন্সের মালিক কোকনের সঙ্গে।   তিনি বাংলানিউজকে বলেন, দিনের অনেকটা সময় কোনো বিক্রি ছাড়াই অলস বসে থাকতে হয়।

এর আগে ৫০ হাজার টাকার বেচা-বিক্রি হলেও এখন তার তিন শতাংশের এক শতাংশ হচ্ছে। রাজধানীতে মানুষ নেই, অনেকেই আবার বেশি বেশি কিনে রেখেছেন। যেহেতু ব্যবসা তাই ক্রেতার আশায় থাকতে হয়।

একই কথা জানালেন এ বাজারের মুদি দোকানি জাহাঙ্গীর।   তিনি বলেন, প্রথমে যখন আতঙ্ক তৈরি হয় তখন অনেকে বেশি পণ্য কিনেছেন। এজন্য এখন তাদের পণ্যের প্রয়োজন পড়ছে না। তাছাড়া মানুষ বের হচ্ছে কম তাই বিক্রি কমেছে।

একই চিত্র দেখা গেছে এ বাজারের অন্য আড়তেও। খুচরা মাছের বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম, কমে গেছে সবজির বাজারের বিক্রিও। ক্রেতাশূন্য বাজার।  ছবি: বাংলানিউজমগবাজার চারুলতা মার্কেটের সবজি বিক্রেতা নূর মোহাম্মদ বলেন, এখন মালামাল বিক্রি কম হওয়ায় কম মাল রাখছি তবুও বিক্রি তেমন নেই। ক্রেতারা যারা আসছেন তারাও আগের মতো বাজার করছেন না। বাজারের পরিমাণ কমিয়েছেন তারা।

মাসুম নামে কারওয়ান বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, পরিবেশ ভালো না, তাই অনেকেই বাসা থেকে বেরোচ্ছেন না। তবে এখন যেটা লাগবে সেটাতো কিনতে হবে। অনেকেই বাইরে বের হবে না বলে আগেই নিত্যপণ্য কিনে রেখেছেন।

রাস্তাঘাটে তেমন নেই গণপরিবহন। দু’একটা ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে। তবে পর্যাপ্ত রিকশা চোখে পড়ছে। প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষের একমাত্র ভরসা যানবাহন এখন রিকশা। তবে আতঙ্ক কাজ করলে সচেতনতা বেড়েছে রাজধানীবাসীর। অধিকাংশরাই ব্যবহার করছেন মাস্ক। কেউ কেউ ব্যবহার করছেন হ্যান্ড গ্লাভস, সঙ্গে রাখছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
ইএআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।