ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিজিএমইএ'র অনুরোধ রাখলো না সাভারের অনেক পোশাক কারখানা

সাভার করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৫, ২০২০
বিজিএমইএ'র অনুরোধ রাখলো না সাভারের অনেক পোশাক কারখানা

সাভার (ঢাকা): কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে পোশাক কারখানাগুলো আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য কারখানা মালিকদের কাছে অনুরোধ করেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক।

কিন্তু বিজিএমইএ'র অনুরোধ না মেনে সাভার ও আশুলিয়ায় অনেক পোশাক কারখানা চালু রয়েছে। যেগুলোতে জরুরি সিপমেন্ট অথবা পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) তৈরির কাজ চলছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) সকালে সরেজমিনে সাভারের কলমায় অবস্থিত উইন্টার ড্রেস লিমিটেড নামে পোশাক কারখানায় গিয়ে দেখা গেছে, সাধারণ কর্মদিবসের মতো কারখানা চালু রয়েছে। সামাজিক দূরত্ব না মেনে গায়ে-গা লাগিয়ে দলে দলে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করছেন।

এদিকে জানা গেছে, আশুলিয়ার পলাশবাড়ীর স্কাইলাইনের নিটিং, ইপিজেড এলাকার গোল্ড টেক্স, একটর অ্যাপারেলস, গ্লোবাল, শান্তা, সাভার কলমা এলাকায় হট ড্রেস গ্রুপ, সাভারে আল মুসলিম, আলনিমা, ডেনি টেক্স, ঢাকা টেক্সটাইল, সাভার টেক্সটাইল, বিরুলিয়া বউবাজার এলাকার এবিসি বাংলা অ্যাপারেলস লিমিটেড, বিরুলিয়ার মাইন্ড ওয়ান নিট কম্পোজিট লিমিটেড, হেমায়েতপুরের এবি অ্যাপারেলস, জামগড়ার এসএনএস অ্যাপারেলস, জামগড়ার নিটওয়্যার লিমিটেড, ছাফা সুয়েটার, এসকেআরএম ও আশুলিয়ার বারইপাড়ার তানজিলা টেক্সটাইল লিমিটেডসহ প্রায় অর্ধশত পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে।

কারখানা খোলা রাখার বিষয়ে উইন্টার ড্রেস লিমিটেডের প্রশাসন বিভাগের কর্মকর্তা আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাসায় যেভাবে ভালো থাকার চেষ্টা করি নিজেরা ওই ভাবেই শ্রমিকদের কারখানায় ভালো রাখার চেষ্টা করছি। কাজের বেশির ভাগ ক্রয়াদেশ বাতিল হয়ে গেছে। দু’একটি ক্রয়াদেশ রয়েছে যেগুলো জরুরিভাবে সিপমেন্ট দিতে হবে। তাই রোববার আমরা কারখানা খোলা রেখেছি। পরবর্তীতে বন্ধের নির্দেশ এলে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হবে।

এ বিষয়ে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা খাইরুল ইসলাম মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, করোনার প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের সব কিছুই লকডাউন করে রাখা হয়েছে। সেক্ষেত্রে পোশাক কারখানার মালিকরা যে কারখানা খুলছে এটি সঠিক করেনি। বিভিন্ন এলাকার ভেতরে ভেতরে কিছু পোশাক কারখানা খোলা রয়েছে। কোনো কারণে শ্রমিকদের ভেতরে করোনা একবার সংক্রমতি হয়, তাহলে সেটি নিয়ন্ত্রণ করা সবার জন্য কঠিন হবে। এখনো সময় আছে কারখানাগুলো বন্ধ করে শ্রমিকদের জীবন রক্ষার করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।