ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লোকসান প্রায় বিশ হাজার কোটি টাকা

ইয়াসির আরাফাত রিপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের লোকসান প্রায় বিশ হাজার কোটি টাকা

ঢাকা: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে বন্ধ রয়েছে দেশের সুপার মার্কেট, মার্কেট ও রাস্তার পাশের দোকানপাট। এর ফলে বিপাকে পড়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাদের লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে প্রতিদিনই।

দোকান মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৬ লাখ। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় গড়ে প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে ১১শ কোটি টাকা।

সেই হিসাবে গত ১৮ দিনে ১৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।  

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব সুপার মার্কেট ও মার্কেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। এর আগে তিন দফায় সময় বাড়ানো হয়, তবে সার্বিক পরিবেশ এখনও অনুকূলে না আসায় আরও সময় বাড়ানো হয়েছে।

সমিতি বলছে, করোনা ভাইরাসের কারণে মার্কেটগুলো ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়া এবং মালিক, শ্রমিক ও কর্মচারীদের ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে প্রথমে সাত দিনের বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। তবে পরিবেশ এখনও পুরোপুরি ইতিবাচক না হওয়ায় সরকারের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে সময় বাড়ানো হয়েছে।

দোকান বন্ধ থাকায় এসব ব্যবসায়ীদের ঘরেই দিন কাটলেও অনেকেরই সঞ্চয় শেষের দিকে। দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতন নিয়েও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। সার্বিক পরিবেশ পরিস্থিতির উত্তরণ না হলে পথে বসতে হবে এমন আশঙ্কা অনেক ব্যবসায়ীর।

খিলগাঁও বাজারের পোশাক ব্যবসায়ী নান্নু। তার দোকানে আরও দুই জনের কর্মসংস্থান হয়। তিনি বলেন, গত ২৫ তারিখ থেকে আমার ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। এখন দোকান খুলতে পারছি না, বেতন-ভাড়া, পরিবারের খরচ মেটানো কষ্টকর। এভাবে চললে পথে বসতে হবে।  

অন্যদিকে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি বলছে, গত ১৮ দিনে তাদের লোকসানের পরিমাণ ১৯ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। শুধু পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে মাটির হাঁড়ি, মিষ্টি, পোশাকসহ শতভাগ দেশের বাজারের জন্য পণ্য তৈরি করে এমন ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সারাদেশে একজনের অধিক ও ১৫ জনের নিচে কর্মচারী রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৬ লাখ। এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রতিদিন গড়ে ১১০০ কোটি টাকা করে লোকসান হচ্ছে। তারা দোকান ভাড়া, কর্মচারীর বেতন দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। এ বিপুল পরিমাণ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অবশ্যই সরকারের সহযোগিতার প্রয়োজন হবে।  

তিনি বলেন, আমাদের কার্যনির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সরকারের ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের সব মার্কেট বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এখন সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছি। তবে কাঁচাবাজার, মুদি দোকান, ওষুধের দোকান এবং নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২০ 
ইএআর/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।