ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে ৯ লাখ ৩৫ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার মজুদ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০
দেশে ৯ লাখ ৩৫ হাজার মে. টন ইউরিয়া সার মজুদ 

ঢাকা: দেশে বর্তমানে ৯ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদ আছে। বিসিআইসি নিয়ন্ত্রণাধীন সার কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম চলমান। ডিলারদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সার পৌঁছে দিতে সহযোগিতার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১৩ এপ্রিল) শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) সবশেষ তথ্য অনুসারে করপোরেশনের সার কারখানা ও গোডাউনে মোট ৯ লাখ ৩৫ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে।

গত বছর একই সময়ে ইউরিয়া সারের মোট মজুদের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ১৫ হাজার ৭৩৫ মেট্রিক টন। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে ইউরিয়ার মোট চাহিদা ২৫ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং এর প্রায় ২২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন সার ইতোমধ্যে কৃষকের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে।  

অন্যদিকে কাফকোসহ বিসিআইসি নিয়ন্ত্রণাধীন কারখানাগুলোতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উৎপাদন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এজন্য দেওয়া হয়েছে পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ব্লিচিং, মাস্ক ও প্রয়োজনীয় পিপিই। বর্তমানে বিসিআইসি'র অধীন ছয়টি সার কারখানার মধ্যে তিনটি কারখানা চলমান। অন্য তিনটি কারখানা নিয়মিত সংক্ষিপ্ত মেরামতি শেষে শিগগিরিই উৎপাদন কার্যক্রম  শুরু করবে বলে জানায় বিসিআইসি।  

সার উৎপাদন ছাড়াও পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিসিআইসির সার আমদানি ও সরবরাহ কার্যক্রম চলমান। বিসিআইসি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান ও কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী-কর্মকর্তাদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাসহ সার ব্যবস্থাপনার সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন।   

এদিকে, ইউরিয়া সার পরিবহন, ডিলারের অনুকূলে বরাদ্দ ইউরিয়া সার যথাসময় উত্তোলন করে সারাদেশে কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য ১১ এপ্রিল পত্রের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়।

বিসিআইসি সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে এবছরের এপ্রিল মাসের ইউরিয়া সারের বরাদ্দ জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে মে ও জুন/২০২০ মাসের বরাদ্দও পাঠানো হবে। তবে যে সব ডিলার এখন পর্যন্ত এবছরের মার্চ মাসের বরাদ্দ মোতাবেক নির্ধারিত পরিমাণ ইউরিয়া সার উত্তোলন করেননি তাদের দ্রুত সার উত্তোলনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ৯ এপ্রিল পরিবহন কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীদের জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত করে আদেশ জারি করেছে। করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত মহামারি পরিস্থিতি বা মহামারি পরবর্তী সময়ে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষক পর্যায়ে সার, বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করা নির্দেশ দিয়েছেন।

কৃষি উৎপাদনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ইউরিয়া সার শিল্প মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বিসিআইসি সারাদেশে ২৯টি (২৪টি বাফার গোডাউন এবং ৫টি কারখানা) বিক্রয় কেন্দ্র থেকে প্রায় ৫ হাজার ৬০০ ডিলারের মাধ্যমে (প্রতি ইউনিয়নে কমপক্ষে ০১ জন ডিলার) কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া সরবরাহ করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২০ 
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।