ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ৫ হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ৫ হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক

বেনাপোল (যশোর): করোনার প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এক মাস ধরে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের আপেক্ষায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আটকা পড়ে রয়েছে প্রায় ৫ হাজার পণ্যবোঝাই ট্রাক। এসব পণ্যের বেশির ভাগ শিল্প কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল, কেমিক্যাল ও খাদ্যসমাগ্রী রয়েছে। পণ্যগুলো দ্রুত খালাস করা না গেলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন  আদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।

করোনার সংক্রমণরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে সব ধরনের পণ্যের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দেয় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে আটকা পড়েছে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা শিল্প কারখানার কাঁচামাল ও খাদ্যদ্রব্যসহ পণ্যবোঝাই প্রায় ৫ হাজার ট্রাক।

এতে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা। এ বিষয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও আশ্বাসেই আটকে আছে সব।

আটকে থাকা পণ্যের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।  

অন্যদিকে, বারবার আশ্বাস দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানান বেনাপোল বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ (ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বাংলানিউজকে বলেন, ভারত থেকে যদি আমাদের গাড়িগুলো বন্দরে ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কম হবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, অধিকাংশ আমদানিকারকই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে পণ্য আমদানি করছে। সেই পণ্যগুলো আটকা পড়ে বর্ডারে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য একদিন দু’দিনের জন্য ভারত সরকারের সঙ্গে আলাপ করে ফ্যাক্টরির কাঁচামালগুলো যদি দেশে ঢোকানো যায় তাহলে ভালো হবে।


ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আলোচনা হয়েছে। খুবই আশাবাদী দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধান হবে। করোনা ভয়কে জয় করেই আমাদের কাজ করতে হবে।

বেনাপোল স্থলবন্দর সহকারী উপ-পরিচালক মামুন তরফদার বাংলানিউজকে বলেন, কমিটমেন্ট ছিল, ট্রাক প্রবেশের পর দ্রুত খালি করে পাঠিয়ে দেবো। কিন্তু তারা কোনো কথাই রাখেনি।

উল্লেখ্য, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিবছর প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়ে থাকে। যা থেকে সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।