রোববার (১৪ জুন) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে দেশে ভোজ্য ও শিল্প লবণের মোট চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৮ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন।
এছাড়া বিগত মৌসুমে উদ্বৃত্ত লবণ ছিল ০৪ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। সব মিলিয়ে মোট জাতীয় চাহিদার বিপরীতে দেশে লবণের মোট মজুদ ২০ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন। যা দেশের মোট চাহিদা চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন বেশি। এর মধ্যে চলতি অর্থ বছরের মে মাস পর্যন্ত চাহিদা মিটিয়ে চলতি বছরের ০১ জুন লবণ মাঠ ও মিল পর্যায়ে লবণের মোট মজুদের পরিমাণ ১৩ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন। এছাড়া দেশের সব জেলার ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা পর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে।
বিসিকের শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ বিভাগ এবং কক্সবাজারে অবস্থিত বিসিক লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দেশে শিল্প লবণের চাহিদা তুলনামূলক কম পরিলক্ষিত হচ্ছে। অন্যদিকে প্রতি বছর নভেম্বর মাসে লবণ উৎপাদনের মৌসুম শুরু হয়ে থাকে। সে হিসেবে নতুন লবণ মৌসুম শুরু হওয়ার আর মাত্র পাঁচ থেকে ছয় মাস বাকি। এরপর থেকেই আবারও বাজারে নতুন লবণ আসতে শুরু করবে। ফলে আসন্ন ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণসহ আগামী ১০ মাস লবণের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
চলতি বছরের নভেম্বরে নতুন মৌসুমের লবণ বাজারে আসবে বিধায় বর্তমান মজুদ দিয়ে শিল্প ও ভোজ্য লবণের জাতীয় চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত লবণ থাকবে। ফলে এ বছর লবণ আমদানির কোনো প্রয়োজন হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস