ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদে ওয়ালটনের শতাধিক মডেলের ফ্রিজ, থাকছে ক্যাশ ভাউচার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
ঈদে ওয়ালটনের শতাধিক মডেলের ফ্রিজ, থাকছে ক্যাশ ভাউচার

ঢাকা: কয়দিন বাদেই কোরবানির ঈদ (ঈদুল আজহা)। এই সময়কে বলা হয় ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম।

প্রতিবারের মতো এই মৌসুমেও ব্যাপকভাবে বিক্রি হচ্ছে ওয়ালটন ফ্রিজ। সারাদেশে ওয়ালটন আউটলেটগুলোতে প্রদর্শন ও বিক্রি হচ্ছে শতাধিক মডেলের ফ্রিজ। এর মধ্যে রয়েছে আধুনিক মডেলের দৃষ্টিনন্দন সাইড বাই সাইড ডোর এবং ডিপ ফ্রিজ।

 

ঈদ উপলক্ষে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে ফ্রিজ ক্রেতাদের মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগসহ কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দিচ্ছে বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন।

 

জানা গেছে, ঈদ বাজারে একমাত্র ওয়ালটনের রয়েছে সর্বোচ্চ সংখ্যক মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর এবং ফ্রিজার। এর মধ্যে নতুন এনেছে প্রায় অর্ধশত মডেল। ওয়ালটন ফ্রিজ একদিকে আন্তর্জাতিক মানের, অন্যদিকে দামেও সাশ্রয়ী। প্রযুক্তি ও ডিজাইনের দিক থেকেও অত্যাধুনিক। এর মধ্যে রয়েছে রয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুুক্তির সাইড বাই সাইড ডোর, গ্লাস ডোর, বিএসটিআইর ‘ফাইভ স্টার’ এনার্জি রেটিং প্রাপ্ত রেফ্রিজারেটর। আরো আছে বিশেষ ডিজাইনে তৈরি ৫০-৫০ মডেলের রেফ্রিজারেটর। এর ডিপ অংশে রয়েছে নরমাল অংশের সমান বিশাল জায়গা। ফলে গ্রাহকের আলাদা করে আর ডিপফ্রিজ কেনার প্রয়োজন পড়ে না।

ওয়ালটন ফ্রিজে ব্যবহৃত হচ্ছে ডিইসিএস টেকনোলজি, থ্যালেট মুক্ত গ্যাসকেট, হানড্রেড পার্সেন্ট কপার কনডেনসার, ওয়াইড ভোল্টেজ ডিজাইন। ফলে এসব ফ্রিজে ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

 

সম্প্রতি কুল প্যাকসহ ডিপ ফ্রিজ বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে এই প্রথম এ প্রযুক্তির ফ্রিজার বাজারে এলো। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে করোনা ভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে ক্রেতাদের জন্য এই বিশেষ ফিচার যুক্ত করেছে ওয়ালটন।

 

এছাড়া খুব শিগগিরই বাজারে আসছে ওয়ালটনের আইওটি বেজড স্মার্ট রেফ্রিজারেটর। চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

 

এদিকে অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে চলছে ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৭। এ পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে মিলিয়নিয়ার, লাখপতি হওয়ার সুযোগ কিংবা কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার দেওয়া হচ্ছে।

 

ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহীদুজ্জামান রানা জানান, ঈদ বাজারে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ইতোমধ্যেই ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন অসংখ্য ক্রেতা। তাদের মধ্যে কয়েকজন হলেন: গাজীপুরের দর্জি ওয়াজেদ আলী, নওগাঁর গামছা বিক্রেতা সোলায়মান হক, রাঙ্গামাটির মুরগির খামারি চাইথোয়াইঅং মারমা, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের অফিস সহকারী রণজিত চন্দ্র রায়, রাজধানীর দক্ষিণ কাফরুলে গৃহিণী সূচনা রহমান এবং চট্টগ্রামের মাছচাষী নাজিম উদ্দিন।

 

ওয়ালটন ফ্রিজ বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান মল্লিক বলেন, ঈদ মৌসুমে প্রতিবছরই বিক্রিতে শীর্ষে থাকে ওয়ালটন ফ্রিজ। গত ঈদেও এককভাবে ১০ লাখেরও বেশি ফ্রিজ বিক্রি করে স্থানীয় ফ্রিজ বাজারে রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল ওয়ালটন। দেশের বাজারে ওয়ালটন ফ্রিজের এখন একচেটিয়া আধিপত্য। বজায় রেখেছে ৭৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার। তবে এবছর করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ভিন্ন। সেই দিক বিবেচনায় ঈদকে ঘিরে ওয়ালটন ফ্রিজের বিক্রি বেশ ভালো। এর প্রধান কারণ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উচ্চ গুণগতমান, সাশ্রয়ী দাম, কালার ও ডিজাইনের বৈচিত্র্যতা, সর্বোচ্চ সংখ্যক মডেল এবং সর্বোপরি দেশব্যাপী বিস্তৃত বিশাল সার্ভিস নেটওয়ার্ক থেকে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা।

 

তিনি জানান, ঈদ বাজারে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৬ মডেলের ফ্রস্ট ও ২০ মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর। এর মধ্যে নতুন এসেছে ৩৮ মডেলের ফ্রস্ট ও ৭ মডেলের নন-ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর।

 

এদিকে ৩টি নতুন মডেলসহ মোট ১৫ মডেলের ফ্রিজার বা ডিপ ফ্রিজ আছে ওয়ালটনের। ওয়ালটনের এসব ফ্রিজ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১০ হাজার ৯৯০ টাকা থেকে ৬৯ হাজার ৯শ টাকার মধ্যে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি বিশ্বমানের ওয়ালটন ফ্রিজ কিস্তিতে কেনার সুযোগ আছে।

 

আন্তর্জাতিক মান যাচাইকারি সংস্থা নাসদাত ইউনিভার্সাল টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিশ্চিত হয়ে ওয়ালটনের প্রতিটি ফ্রিজ বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ওয়ালটন ফ্রিজের রয়েছে বিএসটিআইয়ের ফাইভ স্টার এনার্জি এফিশিয়েন্সি রেটিং। ফ্রিজ উৎপাদন ও রপ্তানিতে ওয়ালটন অর্জন করেছে আইএসও, ওএইচএসএএস, ইএমসি, সিবি, আরওএইচএস, এসএএসও, ইএসএমএ, ইসিএইচএ, জি-মার্ক, ই-মার্ক ইত্যাদি সার্টিফিকেট। আন্তর্জাতিকমানের ওয়ালটন ফ্রিজ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

ফ্রিজে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধার পাশাপাশি কম্প্রেসরে ১২ বছরের গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।