ঢাকা: চলমান করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তাহবিলে প্রায় ৩০ কোটি টাকা দিয়েছে গ্রামীণফোন।
রোববার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব কেএম আব্দুস সালামের হাতে গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দ তানভীর হুসাইনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল ২৯ কোটি ৭৮ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪১ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএম আব্দুস সালাম বলেন, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, করোনার এই সময়ে এবছর প্রায় দুই হাজার শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় সোয়া ছয় কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মন্নুজান সুফিয়ানের গতিশীল নেতৃত্বে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন সব সময় শ্রমিকদের কল্যাণে পাশে।
গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, চলমান সঙ্কটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহায়তা কার্যক্রম হিসেবে উন্নয়ন অংশীদার, সরকারি সংস্থা ও খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথ অংশীদারিত্বে জনগণকে জরুরি যোগাযোগ পরিষেবা সরবরাহ, সম্মুখসারির চিকিৎসাকর্মী ও বিপন্ন জনগোষ্ঠীকে সহায়তা, তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য গ্রামীণফোন অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এই প্রতিকূল সময়ে এ সহায়তা নিঃসন্দেহে দুর্দশাগ্রস্ত শ্রমিকদের সহায়তা করবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গ্রামীণফোনসহ দেশি, বিদেশি ও বহুজাতিক মিলে ১৬৫টি কোম্পানি তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত এ তহবিলে জমা দিয়ে আসছে। লভ্যাংশ নির্দিষ্ট অংশ জমা দেওয়া কোম্পানির সংখ্যা প্রতি মাসে বাড়ছে। বর্তমানে এ তহবিলে জমার পরিমাণ প্রায় ৪৪২ কোটি টাকা।
গ্রামীণফোন তাদের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে নিয়মিতভাবে জমা দিয়ে আসছে। এ তহবিলে সর্বোচ্চ জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন এখন পর্যন্ত ১৫১ কোটি ৬০ লাখ ৭৯ হাজার ৯৬০ টাকা জমা দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মোল্লা জালাল উদ্দিন এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ রেজাউল হক, মহাপরিচালক কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, জাতীয় শ্রমিক লীগ সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, গ্রামীণফোন ডব্লিউপিপিএফ এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইয়াসির মাহমুদ খান এবং গ্রামীণফোনের শিল্প সম্পর্ক বিভাগীয় প্রধান কেএম সাব্বির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২০
জিসিজি/এএ