ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থবছরের শুরুতেই রেমিট্যান্সের চমক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০
অর্থবছরের শুরুতেই রেমিট্যান্সের চমক ছবি- প্রতীকী

ঢাকা: করোনা মহামারির চলমান সংকটের মধ্যেও প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। জুলাই মাসের দুই দিন বাকি থাকতেই গত মাসের চেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসার রেকর্ড হয়েছে।

চলতি মাসের মাত্র ২৭ দিনেই ২.২৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে একক কোনো মাসে কখনো এত পরিমাণ রেমিট্যান্স আসেনি।  

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই)  অর্থমন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।               

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত জুন মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ১.৮৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা ছিল গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ৩৯ শতাংশ এবং মে মাসের চেয়ে প্রায় ২২ শতাংশ বেশি। চলতি মাসে মাত্র ২৭ দিনেই সেই রেকর্ডও ভেঙে গেছে। প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমুখী এ ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।  

এতে আরো বলা হয়, ২৭ জুলাই পর্যন্ত দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ। গত ৩০ জুন দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩৬.০১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তখন পর্যন্ত সেটিই ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে তা ৩৭.১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ডে গিয়ে ঠেকেছে।  

গত ১ বছরে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। রিজার্ভের এ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে রেমিট্যান্সের অন্তঃপ্রবাহ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকারের এ অভূতপূর্ব সাফল্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে, সেই প্রবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০২০ 
এমআইএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।