ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রাতভর গরুশূন্য হাটে ক্রেতাদের সমাগম!

মাহফুজুর রহমান পারভেজ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
রাতভর গরুশূন্য হাটে ক্রেতাদের সমাগম! গরুশূন্য হাটে ক্রেতাদের সমাগম/ছবি: বাংলানিউজ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সব পশুরহাটগুলোতে হঠাৎ করেই কোরবানির গরুর সংকট দেখা দিয়েছে। রাতভরা প্রতিটি পশুরহাটে ক্রেতাদের সমাগম বাড়লেও মেলেনি কোনো গরু।

  বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) দিনগত রাতে জেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।  

শুক্রবার (৩১ জুলাই) ভোরেও প্রতিটি হাটেই ছিলো ক্রেতাদের সমাগম। কিন্তু ছিলো না বিক্রির জন্য কোনো গরু। কয়েকটি গরু হাটে বাঁধা থাকলেও সেগুলো অনেক আগেই বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানালেন ব্যাপারীরা।

রাতভর ফতুল্লার ডিআইটি মাঠের হাট, সৈয়দপুর কয়লাঘাট, দুই নম্বর ঢাকেশ্বরী, জালকুড়ি, চিত্তরঞ্জন, আলীগঞ্জ, সিদ্ধিরঞ্জ ছয় নম্বরসহ বিভিন্ন হাটে ঘুরে দেখা গেছে শত শত ক্রেতার। তবে, কোনো হাটেই পর্যাপ্ত পশুর দেখা মেলেনি। দুই-একটি হাটে গরু থাকলেও ছোট গরুর দাম হাঁকানো হচ্ছে লাখ টাকার ওপরে। ক্রেতারা অনেকে তাও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে, বেশিরভাগ ক্রেতাই ঢাকামুখী রওয়ানা দিয়েছেন।  

ফতুল্লা হাটের ব্যাপারী মফিজ আলী বাংলানিউজকে বলেন, গরু বেচাকেনা শুরু হয় দুপুরের পর। সন্ধ্যার মধ্যেই আমরা সব গরু বিক্রি শেষ করে ফেলেছি। এবারের মতো লাভে গরু কখনো বিক্রি করিনি।

হাটে গরু না পেয়ে ক্রেতা ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, আমি শহরের মিশনপাড়া এলাকায় থাকি। রাত ৮টার পরই পরিচিতজনদের কাছে শুনতে পাই হাটে নাকি কেনার জন্য কোনো গরু পাওয়া যাচ্ছে না। শুক্রবার আমার গরু কেনার কথা। রাতেই খবরটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ফতুল্লা, কয়লাঘাট, জালকুড়ি, সাইনবোর্ড হাটে যাই। কিন্তু হাট ঘুরে কোথাও গরু পাইনি।  গরুশূন্য হাট/ছবি: বাংলানিউজতিনি আরও বলেন, আমার বাজেট ৯৫ হাজারের মধ্যে, কিন্তু নারায়ণগঞ্জের কোরবানির হাটে গরুই নেই কীভাবে কিনবো।  তাই গাবতলী পশুরহাটের দিকেই ছুটেছি। এখানে এসেও একই অবস্থা দেখছি। এখন গরু না কিনেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।  সকাল ১০টার পরে আবারও যাবো। দেখি ভাগ্যে থাকলে পাবো নয়তো এবার আর কোরবানি দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ক্রেতাদের মতো নারায়ণগঞ্জের আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদও ঘুরে কোনো হাটে গরু পাননি।  

৬টায় তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি তো গরু খুঁজছি। হঠাৎ কি হলো রাতে সব গরু নেই হয়ে গেলো! আমার মাথায় আসছে না। এত গরু কিনলো কারা? আমি ১৫টার মতো হাট ঘুরেছি, এখনো ঘুরছি। জানি না ভাগ্যে কি আছে। আমি তো গরু কিনতেই বের হয়েছি তবে, ছোট-বড় ভিন্ন কথা, গরুই তো নেই।  

একই অবস্থা অন্য ক্রেতাদেরও। হঠাৎ করেই সন্ধ্যার পর নারায়ণগঞ্জে গরু নেই বলে খবর রটে যায়। এতে করে ক্রেতারাও দ্রুত হাটে ছুটে যান আর গিয়ে এ খবরের সত্যতাও নিজ চোখেই দেখতে পান। কোথাও কোনো হাটেই বিক্রির জন্য গরু নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।