ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাগেরহাটে শসার বাম্পার ফলন, দামও ভালো

এসএস শোহান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২০
বাগেরহাটে শসার বাম্পার ফলন, দামও ভালো শসা

বাগেরহাট: বাগেরহাটে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। আবার করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।

কৃষকের মুখের হাসিই বলে দিচ্ছে এবার শসা চাষ করে জিতে গেছেন!

জেলার পাঁচটি উপজেলার সবজি ক্ষেত ও মৎস্য ঘেরের পারে বিপুল পরিমাণ শসা চাষ হয়েছে। প্রতিদিনই শতাধিক ট্রাকে শসা যাচ্ছে দেশের বড় শহরগুলোতে। করোনা পরিস্থিতিতে নিজ বাড়ির সামনে বসে ন্যায্যমূল্যে ব্যবসায়ীদের কাছে শসা বিক্রি করতে পেরে খুশি কৃষকরা।

তারা বলছেন, বীজ রোপণের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যেই গাছে শসা আসে। এরপরে ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত শসা ধরতেই থাকে। ভালো পরিচর্যা এবং প্রয়োজনীয় সার দিলে এক একর জমি থেকে প্রতিদিন ছয় থেকে নয় মণ শসা বিক্রি করা যায়।

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলার কচুয়া, বাগেরহাট সদর, চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলায় শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন চিতলমারীতে। এ উপজেলা থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকে করে শসাসহ বিভিন্ন সবজি যায় দেশের বড় বড় শহরে।

.

এ বছর ৫০ হাজার টনের বেশি শসা উৎপাদন হবে বাগেরহাটে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলায়ও এর চালান যাবে। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার দালাল ছাড়া সরাসরি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করায় কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন।

চিতলমারী উপজেলার উমাজুরি গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, এক একর জমিতে শসার চাষ করেছি। ১০ দিন ধরে বিক্রি করছি। প্রতিদিন পাঁচ থেকে আট মণ পর্যন্ত শসা বিক্রি করি। এবার ফলন যেমন বেশি হয়েছে, দামও মোটামুটি ভালো পাচ্ছি।

শসা চাষি মো. তহিদুল ইসলাম, সমীর ঘরামীসহ কয়েকজন বাংলানিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার কিছু পরে বীজ বপন করা হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার শসার ফলন খুব ভালো হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগও আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ১০ থেকে ১৫ টাকা কেজি অথবা ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা মণ বিক্রি করছি। এ রকম দাম থাকলে এবার আমাদের ভালোই লাভ হবে।

চিতলমারী উপজেলার অশোকনগর গ্রামের বিশ্বজিৎ বড়াল বলেন, এ বছর ১০ একর জমিতে শসা চাষ করেছি। তিন লাখ টাকা ব্যয় করেছি। বর্তমানে প্রতিদিন ১০০ মণের উপরে শসা বিক্রি করছি। আমার ক্ষেত ও মাছের ঘেরে আটজন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। সব খরচ দিয়ে এ বছর ১০ লক্ষাধিক টাকা লাভ হবে আশা করছি।

.

বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর বাংলানিউজকে বলেন, বাগেরহাট জেলায় সবজি আবাদের ওপর অতিরিক্ত জোর দেওয়া হয়েছে। সরকার সময়মতো বীজ, সার ও ঋণ প্রবাহ সচল রেখেছে। ফলে এ বছর বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি শসারও বাম্পার ফলন হয়েছে।

তিনি বলেন, এবার বাগেরহাটের কয়েকটি উপজেলায় ৫০ হাজার টন শসার ফলন হবে। কৃষকদের সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতা ও বাজারজাত করণের পরামর্শ দিয়েছি। কৃষক যাতে লাভবান হতে পারেন, সেজন্য সব ধরনের চেষ্টা রয়েছে আমাদের।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২০
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।