ঢাকা: শাকসবজিসহ দেশজ ফলের উৎপাদন বাড়িয়ে বাজারজাত ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, জনগণের পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ‘মনিটরিং রিপোর্ট ২০২০ অব দ্যা বাংলাদেশ সেকেন্ড কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্লান নিউট্রিশন সেনসিটিভ ফুড সিস্টেম’ শীর্ষক এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। এফএও, ইউএসএআইডি এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এফপিএমইউয়ের যৌথ উদ্যোগে এ সভা আয়োজন করা হয়।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষিজমি দিনদিন কমে যাচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত পড়ে না থাকে। প্রতি ইঞ্চি জমিকে উৎপাদনের আওতায় আনতে হবে। এজন্য সেচ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। বরেন্দ্র এলাকায় বৃষ্টির পানি ধরে রাখা যায় না, এ এলাকায় ফসল উৎপাদনের জন্য কিভাবে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি কৃষকের উৎপাদিত ফসলের প্রাপ্য মূল্যের নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাহলে কৃষক ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত হবে।
মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন ধরনের ফসলের পাশাপাশি সবজি ও নানা ধরনের দেশজ ফল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। উৎপাদনের পর সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা নির্বিঘ্ন করতে হবে। সবজি ও ফলমূলের ক্ষেত্রে কৃষকের চেয়ে মধ্যস্বত্বভোগীরা বেশি মুনাফা নিয়ে যায়, ফলে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক। কিন্তু শাকসবজি ও দেশজ ফল বিভিন্ন ধরনের পুষ্টির অন্যতম উৎস।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ইউএসআইডি এর প্রাইভেট সেক্টর এডভাইজার অনিরুদ্ধ রায়, এমইউসিএইচ এর চিফ টেকনিকাল এ্যডভাইজার নাওকি মিনামিগুচী, সিনিয়র নিউট্রিশন এডভাইজার লতিফা ভট্টাচার্য, পলিসি স্পেশালিস্ট সুশিল পান্ডে সহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
জিসিজি/ওএইচ/