ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে মাছের বাজারে। বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে ইলিশের দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় সব ধরনের মাছের দাম কিছুটা কমেছে।
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) নগরীর রামপুরা কাঁচাবাজার, মগবাজার, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে সোনালি ও দেশি মুরগি কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে বয়লার। বর্তমানে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা দরে। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, সাদা লেয়ার ১৮০ টাকা কেজি দরে।
২০ টাকা কমে কক মুরগি ২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি। কেজিতে ৫০ টাকা কমে দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। ছোট রোস্টের মুরগি ৫০ টাকা কমে প্রতিহালি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এসব বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি। খাসির মাংস ৭৮০ টাকা আর বকরি ৭২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে কয়েকটি দোকানে। কিন্তু চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। দেশি মুরগির ডিম ১৭০ টাকা। সোনালি মুরগির ডিমি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। আর হাঁসের ডিম ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা ডজন।
কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে এসব বাজারে কাঁচকি মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, নদীর টেংরা (বড়) ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি শিং ৭০০ টাকা, পাবদা ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কৈ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৪০ টাকা ও কাতল ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমে বর্তমানে এসব বাজারে সোয়া থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে এক হাজার ৫০ টাকা কেজি। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকায়। ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকায়। প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে।
রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা কদ্দুস বাংলানিউজকে বলেন, এখন ইলিশের দাম কম হওয়ায় সব মাছের দাম কমে গেছে। ক্রেতারা কম দামে ইলিশ পেলে তো আর কৈ মাছ খাবে না, তাই। তবে ইলিশ নদীতে কম ধরা পড়লে অন্য মাছের দাম আবার বেড়ে যাবে।
মুরগি ব্যবসায়ী বোরহান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদে মুরগির চাহিদা ছিল বেশি। সরবরাহ কম ছিল। এতে দাম বেড়ে যায়। এখনও মুরগি আগের মতো থাকলেও ক্রেতা আগের মতো নেই। এ কারণে দাম কমতির দিকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২০
ইএআর/টিএ