যশোর: ভারতের ভেংকিস ফিডস এইচভি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান উত্তরা ফুডস এন্ড ফিডস বাংলাদেশ লিমিটেডের কাছে অন্তত ৭০টি কাঁচামাল সরবরাহকারীর প্রায় ১৬ কোটি টাকা পাওনা বকেয়া রয়েছে। তিন বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিষ্ঠানটি বকেয়া টাকা পরিশোধ না করে টালবাহানা করছে।
বুধবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে পাওনাদার ২৪টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকার তুর কর্পোরেশনের মালিক পল্লব সমীর কুদরত-ই-খোদা ব্রেজনেম।
তিনি বলেন, ভারতীয় ভেংকিস ফিডস এইচভি গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান উত্তরা ফুডস এন্ড ফিডস বাংলাদেশ লিমিটেডে ২০১১ সালে ব্যবসা শুরু করে। যশোরের মণিরামপুরে প্রতিষ্ঠানটির দু’টি কারখানা রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের কাছে সারাদেশের অন্তত ৭০টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১৬ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সর্বশেষ গত ১৫ মার্চের মধ্যে বকেয়া পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য বাধ্য হয়ে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করছি। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- এগ্রো কনসার্ন, তুর কর্পোরেশন, সততা ট্রেডার্স, যুথি ট্রেডার্স, বিএস এগ্রো ট্রেডিং, পিকে এন্টারপ্রাইজ, কাজী এগ্রো লিমিটেড, ইনোভেট বিডি, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স, এপিএল, নিউট্রিভেট লিমিটেড, জেএনএস টেকনোলজি, নিউ পাবনা ট্রেডিং, ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড, মেসার্স খান এন্টারপ্রাইজ, সেঞ্চরি এগ্রো লিমিটেড, ইয়ন গ্রুপ, ভৈরব এন্টারপ্রাইজ, সানশাইন এগ্রো, মেসার্স মা খোদেজা ট্রেডার্স, মাহিন এগ্রো, এম্পেল এগ্রো টোটাল কার্গো ম্যানেজমেন্ট ও সিগমা বাংলাদেশ।
পাওনাদারের বকেয়া পরিশোধ না করে দীর্ঘ তিন বছর ধরে টালবাহানা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তাদের দু’টি কারখানার মধ্যে একটি ভাড়া দিয়ে উপার্জিত অর্থে যাবতীয় খরচ ও ব্যাংক পাওনা নিয়মিত পরিশোধ করছে। কিন্তু সরবরাহকারীদের বকেয়া পরিশোধ করছে না। পাওনা আদায়ে চাপ দিলে আশ্বস্ত করে চলতি বছরের ১৫ মার্চের মধ্যে পরিশোধ করবে। এ বিষয়ে পৃথক পৃথক চুক্তিও হয়। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ করেনি।
সততা ট্রেডার্স ও যুথি ট্রেডার্সের মালিক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, উত্তরা ফুডস এন্ড ফিডসের কাছে আমার দু’টি প্রতিষ্ঠানের পাওনা প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে তাগিদ দিয়ে পাওনা আদায় করতে পারছি না। প্রতিষ্ঠানটি বকেয়া পরিশোধ না করেই ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে। আমার মতো আরও অনেক সরবরাহকারী বিপাকে পড়েছে। বকেয়া পাওনা না পাওয়ায় ব্যাংক ঋণ শোধ করতে পারছি না। আমার কাছে যারা টাকা পাবে তারাও আমাকে চাপ দিচ্ছে। বকেয়া পাওনা পরিশোধে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রী ও ভারতীয় হাইকমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, এগ্রো কনসার্নের মালিক জাহিদুর রহমান, বিএস এগ্রো ট্রেডিংয়ের মালিক আশরাফুল আলম, পিকে এন্টারপ্রাইজের মালিক দিপা রানী নাথ, ইনোভেট বিডির মালিক কাজল দত্ত, বিসমিল্লাহ ট্রেডার্সের মালিক রেজাউল ইসলাম, সেঞ্চুরি এগ্রো লিমিটেডের মালিক শাহ আলম, ইয়ন গ্রুপের মালিক ফরিদুজ্জামান, সিগমা বাংলাদেশর মালিক রিয়াজুল ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
ইউজি/আরআইএস/