ঢাকা: গত ঈদুল ফিতরের আগে আদার কেজি ৩০০ টাকার ঘরে গেলেও ঈদুল আজহায় আমদানি করা চায়না ও কেরালার আদার দাম ছিল সাধ্যের মধ্যেই। এ দু’প্রকারের আদা প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল বাজারে।
বন্যায় দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে আদা ও রসুন প্রচুর পরিমাণে নষ্ট হয়েছে। এ অজুহাতে খুচরায় আদার দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে বর্তমানে আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিদরে। তবে চাহিদার তুলনায় বেশি আমদানি হওয়ায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে রসুন।
অন্যদিকে রান্নায় অতি প্রয়োজনীয় মসলা জাতীয় পণ্য কাঁচামরিচের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর কমলাপুর, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার, ফকিরাপুল, শান্তিনগর ও সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজিদরে। কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিদরে। অপরিবর্তিত আছে রসুন ও কাঁচামরিচের দাম।
বর্তমানে আমদানি করা কাঁচামরিচ (ভারতীয়) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা কেজিদরে আর দেশি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজিদরে। এদিকে আমদানি করা রসুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
আদার দাম বাড়তি নিয়ে শান্তিনগর বাজারের খুচরা বিক্রেতা হারুন বাংলানিউজকে বলেন, জোয়ারের পানিতে খাতুনগঞ্জ বাজার তলিয়ে গেছে। এতে সেখান থেকে রাজধানীতে মালামাল আসছে না, প্রচুর আদা পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে পাইকারি বাজারে আদার বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে, তাই খুচরাতেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
ইএআর/আরআইএস