ভোলা: ভোলায় জোয়ারের পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে ৫ গ্রামের পানের বরজ। এতে মাথায় হাত পড়েছে পান চাষিদের।
লাভের আশায় পান চাষ করে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে দেনার দায়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। এ অবস্থায় সরকারি সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন পান চাষিরা।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, পানের জন্য বিখ্যাত ভোলার ইলিশা ইউনিয়নের সোনাডগী, মুরাদসফিউল্লাহ, পূর্ব চর ইলিশা, সাজিকান্দি ও রামদাসপুর কান্দিসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতি বছর কোটি টাকার পান ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হয়।
বিগত বছরের মতো এ বছর লাভের আশায় পান চাষ করেছিলেন চাষিরা। কিন্তু জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে ৫ গ্রামের অর্ধশতাধিক পানের বরজ। জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানের গাছ, লতা ও পান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বেশিরভাগ চাষিই এখন লোকসানের মুখে। কীভাবে দেনা পরিশোধ করবেন সেই চিন্তায় দিশেহারা তারা।
ইলিশার সোনাডগী গ্রামের পান চাষি মো. ইউসুফ বলেন, নিজের পুঁজি ও ধারদেনা করে ৫২ শতাংশ জমিতে ২টি পানের বরজ করেছেন, কিন্তু জোয়ারের পানিতে বেশিরভাগ পান নষ্ট হয়ে গেছে। এখন দেনার পরিশোধের চিন্তায় অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি।
পান চাষি সাদ্দাম জানান, তিনি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ২০ শতাংশ জমিতে পানের বরজ করেছেন। জোয়ারের পানিতে তার ৩ লাখ টাকার পান নষ্ট হয়ে গেছে। একই অবস্থা পান চাষি আমজাদ ও মো. কালুর।
পান চাষি নিজাম ও হোসেন বলেন, পানের লতা পচে যাচ্ছে, পাতা ঝড়ে যাচ্ছে, বাজারে এসব পান বিক্রি হচ্ছে না।
ক্ষতি পুষিয়ে কিছুতেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না এসব পান চাষীরা। তাই সরকারে কাছে সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করেছি। পুরো এলাকায় ২ হেক্টর জমির পান নষ্ট হয়েছে। এতে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পানের বরজে পানি সেচ দেয়ার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে কিছুটা হলেও ক্ষতির পরিমাণ কমবে। পান ছাড়াও ইলিশা এলাকায় কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২০
এমজেএফ