ঢাকা: এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ আসছে বাংলাদেশের আড়াইহাজারের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে। জাপান এ বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
তিনি বলেন, জাপান-বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে অটোমোবাইল কারখানা স্থাপনের চিন্তা করছে জাপান।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাণিজ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাপান। ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) গ্রাজুয়েশনের পরও বাংলাদেশকে দেওয়া বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার চিন্তা করা হচ্ছে। এজন্য ভুটানের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) করা যেতে পারে। জাপানের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী। উভয় দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা যেতে পারে। জাপানে দক্ষ শ্রমিকের প্রচুর চাহিদা আছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ নিতে পারে।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। জাপান-বাংলাদেশের উন্নয়নের বড় অংশীদার। জাপান-বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে আরও বাণিজ্য সুবিধা দিলে জাপান-বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে।
বাংলাদেশ ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। এরপর পাঁচ বছর চলমান বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশে ১শটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এগুলোতে জাপান বিনিয়োগ করলে লাভবান হবে। এখানে বিনিয়োগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশ-জাপানের তৈরি গাড়ির বড় বাজার। বাংলাদেশে জাপান গাড়ি তৈরির কারখানা স্থাপন করলে তা লাভজনক হবে।
বাংলাদেশ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে জাপানে ১৩৬৫.৭৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০০ অর্থবছরে ১২০০.৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একইভাবে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে জাপান থেকে ১৮৫২.৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে ১২৯৪.৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। তারা উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করেন। এসময় বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২০
জিসিজি/এএ