ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দাম কমেছে মাংসের, স্বস্তি নেই ইলিশে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২০
দাম কমেছে মাংসের, স্বস্তি নেই ইলিশে মুরগির দোকান ও ইলিশ / ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে মাংসের বাজারে দাম কমেছে। রাজধানীতে প্রতিকেজি গরু মাংস ৫০০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

একইসঙ্গে ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে খাসির মাংস। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসে দাম কমেছে কেজিতে প্রায় ১০০ টাকা। আর খাসির মাংসে কমেছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। এর আগে গরু মাংস ছিল ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। আর ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা ছিল খাসির মাংস।

এদিকে, দাম কমেছে মুরগি, ডিমের বাজারেও। তবে মাছের দাম অপরিবর্তিত। এমনকি ইলিশ মাছের দাম নিয়ে তৈরি হয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়াও। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে ইলিশের সরবরাহ থাকলেও  সে তুলনায় দাম কমেনি। আবার বিক্রেতারা বলছেন, ইলিশের মৌসুম না হলেও বাজারে ইলিশ আসছে। আবার দামও তুলনামূলক কম।

শুক্রবার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হাতিরপুল, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার ও খিলগাঁও কাঁচাবাজারসহ এসব এলাকার অস্থায়ী বাজার ঘুরে এ চিত্র উঠে এসেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে পাঁচ টাকা কমে এসব বাজারে প্রতিকেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। লেয়ার মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা। আর ১০ টাকা কমে প্রতিকেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা। তবে দেশি মুরগির দর কমেছে ৫০ টাকা।   ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া ছোট আকারের রোস্টের মুরগি প্রতি চার পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায়।

এদিকে, কেজিতে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে গরুর মাংসের দাম। এসব বাজারে প্রতিকেজি গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি। তবে কিছু কিছু দোকানে দাম চাওয়া হচ্ছে ৫৫০ টাকা। দাম কমে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৩০ থেকে ৭৫০ টাকা। আর প্রতিকেজি বকরির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমে দাম কমেছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। বাজারে প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। ১০ টাকা কমে দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা।  সোনালি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আর হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের বাজার। এসব বাজারে প্রতিকেজি কাঁচকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, মলা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি টেংরা ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, নদীর টেংরা (বড়) ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি শিং ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কৈ মাছ ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ১৮০ থেকে ৩০০ টাকা, মৃগেল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, পাঙাস ১১০ থেকে ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১১০ থেকে ১৫০ টাকা, কাতল ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এসব বাজারে প্রতি সোয়া কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকায়, ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা, প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, আর ছোট ইলিশ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়।

আমেনা খাতুন নামে মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজারের এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। কিন্তু ইলিশে আগের দামই চাওয়া হচ্ছে। অথচ দাম আরও কম হওয়া উচিত। গরুর মাংস থেকে ক্রেতারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এভাবে ইলিশ থেকেও মুখ ফেরানো উচিত। তাহলে ব্যবসায়ীরা দাম কমাবে।

মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজারের মাছ বিক্রেতা আলী বলেন, ইলিশের মৌসুম না হলেও বাজারে ইলিশ আসছে। তুলনামূলক দাম কম আছে, এটাকে বেশি বলা যায় না।

এ বাজারের মাংস বিক্রেতা ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, এখন গরুর দাম কম, আবার বিক্রিও কমেছে। গরুর দাম কমায় মাংসের দামও কমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২০
ইএআর/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।