ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ

শফিকুল ইসলাম খোকন, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে রুপালি ইলিশ রুপালি ইলিশের স্তূপ। ছবি: বাংলানিউজ

পাথরঘাটা: দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে বড় বড় আকারের রুপালি ইলিশ। দুইদিন ধরে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের (বিএফডিসি) ঘাটে নোঙর করে আছে মাছভর্তি সারিবদ্ধ ট্রলার।

সাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ ধরা পড়ায় তাদের মুখেও ফুটে ওঠেছে হাসির ঝিলিক।

সাগরের বৈরিতা শেষ, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় অলস সময় কাটিয়ে এখন জেলেরা সাগরমুখি হয়েছেন। এখন সাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ইলিশ। কয়েকদিন আগেও জেলেদের মধ্যে হতাশা আর নীরব কান্না ছিল; দীর্ঘদিন পর এবার লাভের মুখ দেখছেন মৎস্যজীবীরা।

বিএফডিসিতে গিয়ে দেখা গেছে সারিবদ্ধ ইলিশের ট্রলার। ভরা মৌসুম থাকা সত্ত্বেও যেখানে দু’দিন আগেও ট্রলার ছিল না আজ মাছ বেচার জন্য ট্রলাগুলোর নোঙর করে রাখা হয়েছে।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিএফডিসি মৎস্যঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, ঘাটে অপেক্ষা করছে মাছবাহী ট্রাক আর সেডের ঘাটে নোঙর করে রয়েছে মাছভর্তি ট্রলার।  .মৎসজীবীরা জানিয়েছেন, ৬৫ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। গত ২৪ জুলাই থেকে মাছ ধরা শুরু হলেও জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়েনি।  তাছাড়া সাগর উত্তাল থাকায় অনেকেই ইলিশ শিকারের যেতে পারছিলেন না। সাগর উত্তাল থাকার মধ্যেও কয়েক দফায় জেলেরা মাছ ধরতে গেলেও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। দীর্ঘদিন কর্মহীন হয়ে বসে থাকায় যে আর্থিক ক্ষতির মুখে তাদের পরতে হয়েছিল। সেই সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে আশাবাদী তারা।  

সাগর থেকে ফিরে আসা আবদুল্লাহ, মো. সেলিমসহ একাধিক জেলে বাংলানিউজকে জানান, সাগরে এখন প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ছে। এভাবে কয়েকটি ট্রিপে ইলিশ ধরা পড়লে হয়তো ছেলেমেয়েদের নিয়ে ডাল-ভাত খেতে পারবেন তারা।  

তারা আরও জানান, সোমবারের মাছ বিক্রি করেই তারা ট্রলারগুরোতে বরফ ওঠাবেন। মঙ্গলবারই (৮ সেপ্টেম্বর) ফের সাগরে রওয়ানা দেবেন।

বিএফডিসিতে ঘুরে দেখা গেছে, এক কেজি ওজনের ইলিশের মণ বিক্রি হয়েছে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা, ৮শ গ্রাম থেকে এককেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা, ৫শ গ্রামের নিচে বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৪ হাজার টাকায়। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, জেলেদের মুখে এখন হাসি ফুটেছে। সাগরে এখন প্রচুর ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাচ্ছে।  

তিনি আরও বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিরতে ছিলেন জেলেরা। নিষেধাজ্ঞা সম্পন্ন হওয়ার পরে সাগরে গেলে তেমন মাছ পাচ্ছিলেন না জেলেরা। তাই তারা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। এখন জালে ঝাঁকে ঝাঁকে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় রীতিমত আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন জেলেরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২০
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।