ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

প্রকল্প প্রণয়নে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধের নির্দেশনা শিল্পমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০
প্রকল্প প্রণয়নে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধের নির্দেশনা শিল্পমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন

ঢাকা: প্রকল্প প্রণয়নের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।  

তিনি বলেন, প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণের সময়, বর্তমান প্রয়োজন ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিচার করে অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রগতি টাওয়ার নির্মাণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য ভবনের আর্কিটেকচারাল প্ল্যান পর্যালোচনাপূর্বক চূড়ান্তকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন।

শিল্প সচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।  

ডিজাইন অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের স্থপতি আসিফ কাদের সভায় প্রগতি টাওয়ারের থ্রিডি আর্কিটেকচারাল ডিজাইন উপস্থাপন করেন।

সভায় শিল্পমন্ত্রী প্রগতি টাওয়ার নির্মাণের জন্য ডিজাইনের কাজ দ্রুত সম্পাদন করে নির্মাণ কাজ শুরু করার তাগিদ দেন।  

এছাড়া সভায় বিদ্যমান ও সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ চাহিদা এবং অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার বিবেচনা করে ২৫তলা বিশিষ্ট প্রগতি টাওয়ার ভবনের নকশা প্রণয়নের আলোকে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ভবনের নকশা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বিধি অনুসরণ করে ভবনে সর্বোচ্চ পার্কিং, গাড়ির আসা-যাওয়ার সুবিধা, অগ্নিনির্বাপণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সুদৃশ্য ভবনের মতো দৃষ্টিনন্দন করে প্রগতি টাওয়ার নির্মাণ করতে হবে।  

তিনি বলেন, প্রগতি টাওয়ার নির্মাণের ব্যয় পুনরায় পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। প্রগতি টাওয়ারে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের কারখানাসমূহে উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হলে বাণিজ্যিকভাবে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন এবং প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড লাভবান হবে।

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নিজস্ব জমিতে তিনটি ভবন বিশিষ্ট ১৪তলার বাণিজ্যিক ভবন কাম সার্ভিস সেন্টার নির্মাণের লক্ষ্যে ১৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালে প্রকল্পটি গৃহীত হয়। প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাহউদ্দিন মাহমুদ, মো. হেলাল উদ্দিন এনডিসি, এ কে এম শামসুল আরেফীন, কাজী সাখাওয়াত হোসেন, ফৌজিয়া নাহার ইসলাম, প্রধান স্থপতি আ স ম আমিনুর রহমান, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. রইছ উদ্দিন, প্রকল্প পরিচালক দেবাশিষ সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২০
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।