সিলেট: ভাদ্রের বৃষ্টিতে ভেজাচ্ছে প্রকৃতি। তেমনি ক্রেতাদের কপাল ভিজছে কাঁচা মরিচের দরে।
সিলেটের বাজারে একলাফে কেজিতে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেঁয়াজ। অথচ কিছুদিন আগেও পেঁয়াজ ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে উঠানামা করছিল। দুই থেকে তিন দিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজ এখন কেজি ৫০ টাকা।
ক্রেতারা বলছেন, সাধারণত রমজান মাস এলে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম বাড়ে। কিন্তু অসময়ে এভাবে এ দুই কাঁচামালের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না।
পক্ষান্তরে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামনে পেঁয়াজ রোপণের মৌসুম। যে কারণে এখন বাজারে পেঁয়াজ আসতেছে না। তাই দাম বাড়ছে। একইভাবে কাঁচা মরিচেরও দাম বাড়ছে।
সিলেটের রিকাবি বাজারের মোদি দোকানি রোকন আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাই ৫০ টাকা কেজিদরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে হচ্ছে। ক’দিন আগে আড়ৎ থেকে ৪০ টাকা কেজি কিনে এনেছি। তখন পচা বাদ দিয়ে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা বিক্রি করতে হতো। আড়তে দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন ৫০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে।
নগরের বন্দরবাজারের কাঁচামালের ব্যবসায়ী আকবর আলী বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে মরিচের আকাল। বস্তা হিসেবে চড়া দামে কিনে আনতে হয়। আর ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করে মাত্র ২০ টাকা লাভ করি।
এদিকে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের সঙ্গে যেন তাল মিলিয়ে চলছে সিলেটের কাঁচা বাজার। সিলেটের বাজারে কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে মেলে না কোনো সবজি। নিত্যপণ্যের দাম শুনে যেন কপালে চোখ ওঠে ক্রেতাদের। যে কারণে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তরা পড়েছেন বিপাকে।
নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো ১২০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, লাল আলু ৬০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাঁচকলা হালি ৬০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ফুলকপি ৮০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৬০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, লাল শাক আঁটি ৩০ টাকা, ডাটা শাক আঁটি ৩০ টাকা, থোড় পিস ৫০ টাকাদরে বিক্রি হচ্ছে। সবজির বাজারে কেবল স্বস্তিদায়ক আলুর দাম। সিলেটের বাজারে আলু এখন ৩৫ টাকা কেজি। ফলে আলুতেই ভরসা নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২০
এনইউ/আরবি/