ঢাকা: প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, করোনা সংকট মোকাবিলায় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের ১৩ কোটি টাকার জরুরি ত্রাণ ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালি বিধির ৩০০ বিধিতে দেওয়া বিবৃতিতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যেসব প্রবাসী কর্মী বিদেশ থেকে ফেরত এসেছেন বা আসবেন তাদের অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসন এবং পূর্ণ কর্মসংস্থানের প্রয়োজনী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বিপদগ্রস্ত কর্মীদের দেশে আনা এবং বিদেশফেরত কর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য এবং কর্ম সময়পযোগী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীদের অথবা মৃত কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিজ জেলা থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে সহজশর্তে মাত্র ৪ শতাংশ সরল সুদে ৫ বছর মেয়াদি ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হচ্ছে। বিদেশফেরত কর্মীদের প্রণোদনা তহবিল থেকে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া বিদেশফেরত কর্মীদের সামগ্রিক কল্যাণ ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৪২৫ কোটি টাকার প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শ্রমবাজারের সবশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, প্রতি মাসে ৬০ হাজার কর্মী বিদেশে গেছেন। ২০১৯ জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত ৪ লাখ ৬০ হাজার কর্মী বিদেশে গিয়েছেন। কিন্তু ২০২০ জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ ৭০ হাজার কর্মী বিদেশে গেছেন।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত কোনো কর্মী বিদেশে যেতে পারেননি বললেই চলে। অন্যদিকে করোনার কারণে বিভিন্ন দেশের অভিবাসন সেক্টরের টাকা অনিয়মিত হওয়ায় নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কারণে আমাদের কর্মীদের একটি ক্ষুদ্র অংশ দেশে ফিরে এসেছেন।
তথ্যানুযায়ী, ১ এপ্রিল থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ১১ হাজার ১১১ জন প্রবাসী কর্মী দেশে ফেরিছেন। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষে বা কাজ না থাকায় দেশে ফিরেছেন। যদিও আশঙ্কা করা হয়েছিল, অর্থনৈতিক মন্দা এবং করোনার প্রভাবে প্রধানকর্মী নিয়োগকারী দেশগুলোর শ্রমবাজার বিপর্যস্ত হবে বা হওয়ার কারণে অনেক কর্মী বেকার হয়ে পরবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
এসই/ওএইচ/