ঢাকা: রাজধানীর বাসাবো এলাকায় দুই সন্তান নিয়ে বসবাস মহসিনের। পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক।
একইভাবে সরকারি কর্মচারী আমজাদ মিয়া দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে পেঁয়াজ সংগ্রহ করেছেন। তিনি বলেন, বাজারে পেঁয়াজ আছে তবুও বিক্রেতারা হঠাৎ দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। নিত্যপণ্যের দামও বেশি, এখান থেকে পেঁয়াজ কিনেছি অন্তত কিছু টাকা সঞ্চয় হোক।
বাংলাদেশের বাজারে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হঠাৎ ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণার পর দাম বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের। এরপর আরও দাম বাড়তে পারে এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনতে ভিড় করেন বাজার, ফুটপাত কিংবা ট্রাকসেলের দিকে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে টিসিবির ট্রাকসেলযোগে স্বল্পমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম চলছে। এখান থেকে যেকোনো ক্রেতা ৩০ টাকা কেজিদরে ২ কেজি পর্যন্ত পেঁয়াজ কিনতে পারছেন। তবে কিছু স্থানে ক্রেতা বেশি থাকায় এক কেজি করে বিক্রি করা হচ্ছে।
রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৮ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে, আর ছোট আকৃতির দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। অথচ দু’দিন আগে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিলো ৬০ টাকায়। অন্যদিকে মাত্র একদিনের ব্যবধানে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজে দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজ এসব বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে।
সচিবালয়-প্রেসক্লাব সংলগ্ন স্থানে টিসিবির পেঁয়াজ কিনতে আসা আহসান হাবিব জানান, বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এখানে একটু অপেক্ষা করে লাইনে দাঁড়ালে আমি ৩০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ পাবো, তাই এখানে এসেছি।
এখানকার ট্রাকসেলের বিক্রয় প্রতিনিধি সুমন বলেন, গতকাল পর্যন্ত তেমন কোনো ভিড় ছিল না। মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) অনেক ক্রেতা আসছেন। এর আগে অনেকেই এক কেজির বেশি পেঁয়াজ কিনেছেন এখান থেকে। তবে ক্রেতার বাড়তি চাপ থাকায় বিক্রি করতে সময় লাগছে, তবে সবাই যাতে পায় এটা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এজন্য আমরা একজন ক্রেতাকে এক কেজি করে পেঁয়াজ দিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
ইএআর/এএ