ঢাকা: বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারিতে স্থবির হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য তথা বিশ্ব অর্থনীতি। করোনার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই পায়নি বাংলাদেশের অর্থনীতিও।
সূত্র মতে, করোনা মহামারির প্রভাব কমতেই বিশ্বের অনেক দেশেই আমদানি-রপ্তানি তথা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য শুরু হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ইয়েমেন, নেপাল, পূর্ব তিমুর ও ভারতে রপ্তানি হয়েছে ওয়ালটনের তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ইনভার্টার এসি। শুধু এসি নয়, রপ্তানি হয়েছে ওয়ালটনের তৈরি টেলিভিশন, কম্প্রেসারসহ বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠার ক্ষেত্রে জাতীয় অর্থনীতিতে ওয়ালটনের রপ্তানি বাণিজ্য বিশেষ অবদান রাখবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও এসি বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর রহমান জানান, দেশের মতো আন্তর্জাতিক বাজারেও ওয়ালটনের তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসির চাহিদা বাড়ছে ব্যাপক। বিশেষ করে ওয়ালটনের তৈরি ইনভার্টার এসি বিশ্ববাজারেও ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পাচ্ছে। তাই করোনার প্রভাব কমতেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা ব্র্যান্ডগুলো আমদানি করছে ওয়ালটনের তৈরি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার সমৃদ্ধ ইনভার্টার এসি। যা কিনা শুধু ওয়ালটনের জন্যই নয়, জাতীয় অর্থনীতির জন্যও সুখবর বলে মনে করছেন তিনি।
ওয়ালটন এসি গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি) বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী সন্দ্বীপ বিশ্বাস জানান, গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড ও টেস্টিং সনদ নিয়েই এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকাসহ বিশ্বের অনেক দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন এসি। নিজস্ব কারখানায় ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার) পদ্ধতিতে অর্থাৎ বিভিন্ন দেশের খ্যাতানামা ব্র্যান্ডের দেওয়া ডিজাইন, মান ও অন্য শর্তানুযায়ী বা চাহিদা মোতাবেক এসি তৈরি করে দিচ্ছে ওয়ালটন। ওইসব ব্র্যান্ডের মাধ্যমে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ লেবেলযুক্ত ওয়ালটনের তৈরি এসি বিশ্ব ক্রেতাদের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে। উন্নতমান ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে ওয়ালটন এসি দ্রুত জয় করে নিচ্ছে বিশ্ব ক্রেতাদের আস্থা।
দেশ ও বিদেশের বাজারে ইনভার্টার এসির ব্যাপক চাহিদা প্রসঙ্গে এসি আরএনডি বিভাগের প্রধান বলেন, ওয়ালটনের নতুন ‘সুপারসেভার’ মডেলের ইনভার্টার এসিতে এসিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত। এ এসিতে ব্যবহৃত ডুয়েল ডিফেন্ডার ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি রুমকে রাখে ধূলাবালি, ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসমুক্ত। রিমোট কন্ট্রোল ছাড়াই ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে সহজেই এসির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অর্থাৎ কমানো, বাড়ানো, বন্ধ বা চালু করা যায়। এসির কম্প্রেসারে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ ও আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড, যা রুমকে দ্রুত ঠাণ্ডা করে। এছাড়া ইভাপোরেটর এবং কন্ডেন্সারে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি ব্যবহার করায় ওয়ালটন তৈরি এসি অনেক বেশি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।
ওয়ালটনের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) শাখার প্রধান অ্যাডওয়ার্ড কিম জানান, ওয়ালটনের টার্গেট বিশ্বের সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ডের তালিকায় স্থান করে নেয়া। সেজন্য নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাশাপাশি ওইএম-এর মাধ্যমে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ক্রেতাদের হাতে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবেশবান্ধব ও ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী গ্লোবাল স্ট্যান্ডার্ড পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত ওয়ালটন পণ্যের নতুন নতুন রপ্তানি বাজার তৈরি হচ্ছে।
তার মতে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, আন্তর্জাতিক মান ও মূল্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতায় অন্য গ্লোবাল ব্র্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকায় বিশ্ববাজারে ওয়ালটন তথা বাংলাদেশের জন্য সুদিন আসছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউনিভার্সাস টেস্টিং ল্যাব থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পরই বাজারে ছাড়া হয়। ফলে স্থানীয় বাজারে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে এখন ওয়ালটন এসি। শিগগিরই বিশ্ববাজারেও শক্তিশালী অবস্থানে তৈরি করে নেবে ওয়ালটন এসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
পিআর/আরবি/