মৌলভীবাজার: ব্যবসায়িক বাগানে দেখা দিয়েছে ক্ষতির জ্বালা। লাভের ফসল ঘরে উঠে যাওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি।
তবে, এই পণ্য-উৎপাদনের দুর্ভোগকে অতিক্রম করে পরবর্তী রাউন্ডে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান চাষি আলাউদ্দিন তৌফিক। শিক্ষাজীবনে মাস্টার্স পাস করেছেন এই কৃষক। নিজের ভাগ্যবদলের স্বপ্ন পূরণে কৃষিতে তার পদার্পণ।
সম্প্রতি সরেজমিন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ইছবপুর গ্রামের টমেটো বাগানে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তৃত মাঠের চাষ করা হয়েছে টমেটো। গাছগুলো সবল এবং তরতাজার বদলে কিছুটা যেন দুর্বল। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে অসংখ্য কালো-শুকনো পাতা। তবে গাছে ধরে আছে প্রচুর টমেটো। এ যেন ক্ষতি কাটানোর স্বপ্নসফল।
বাংলানিউজকে তৌফিক বলেন, ৮ বিঘা জায়গায় আমি ৭ লাখ টাকার টমেটো লাগিয়েছি। এগুলোর জাত বারি-৮। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফসল।
টমেটো ক্ষতির কথা উল্লেখ করে ওই চাষি বলেন, বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে এবার টমেটো চাষিরা ক্ষতির মধ্যে আছে। এছাড়াও গাছে ভাইরাসজনিত রোগ আক্রমণ হয়েছে। তাদের দলে আমিও আছি। প্রথম রাউন্ডের টমেটোতে বেশ লস গেছে আমার। এখন অবশ্য প্রডাকশন (ফসল) আসতেছে।
চাষের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে এ উচ্চ শিক্ষিত চাষি বলেন, আসলে কৃষিতে আমার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। অল্পদিন হয় পড়াশোনা শেষ করে শখের বসে মানুষকে বিষমুক্ত উন্নতজাতের শাকসবজি খাওয়াবো বলে কৃষিতে বিনিয়োগ করেছি। দেখা যাক কতদূর কি করতে পারি। আমার জন্য দোয়া করবেন। এখন প্রেক্ষাপটে যে ফলন গাছে আছে এটি ফসলের দ্বিতীয় রাউন্ড চলছে।
এ প্রসঙ্গে চাষি বলেন, এখন বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা পাইকারি কেজিপ্রতি দাম বিক্রি হচ্ছে। এই অবস্থা থাকলে দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রায় ১০ লাখ টাকার টমেটো বিক্রি হবে বলে আশা করি। সেই বিবেচনায় প্রায় আড়াই থেকে ৩ লাখ টাকা লাভ থাকবে।
নতুন করে আমি অন্য একটা টমেটো ভ্যারাইটি লাগিয়েছি। এটা হলো সাকাতা কোম্পানির বাহুবলী ভ্যারাইটি। এটা এখনও ফল দিতে শুরু করেনি। চারাগুলো ছোট। আশা করছি, মাস দেড়েকের মাঝেই ফলন আসবে। এই ভ্যারাইটি উচ্চ ফলনশীল বলে যোগ করেন তৌফিক।
বাংলাদেশ সময়: ০৮১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২০
বিবিবি/এএটি