ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পোল্ট্রি খাদ্যে পাটের ব্যাগ ও পরীক্ষাজনিত সমস্যা সমাধান হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
পোল্ট্রি খাদ্যে পাটের ব্যাগ ও পরীক্ষাজনিত সমস্যা সমাধান হবে

ঢাকা: মৎস্য ও পোল্ট্রি খাদ্যে পাটের ব্যাগ ব্যবহার এবং একাধিকবার মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষাজনিত সমস্যা অচিরেই সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

রোববার (২১ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পোল্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম বলেন, দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সংশ্লিষ্ট শিল্প স্থাপন ও বিকাশে সব সহযোগিতা করবে সরকার। এজন্য দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশীয় শিল্প বিকাশে অত্যন্ত আগ্রহী। এ শিল্প বিকাশে যেখানেই সমস্যা হবে সেটা আমরা সমাধান করবো। যৌক্তিক ক্ষেত্রে কর রেয়াতের বিষয়টিও আমরা বিবেচনা করবো। মাছ ও পোল্ট্রি খাদ্য তৈরির শিল্প দেশে বিকশিত হলে উৎপাদন খরচ আমরা কমাতে পারবো এবং কম মূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ভোক্তোদের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো। একই সঙ্গে এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানি করতে পারবো।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে, ভালো ব্যবস্থাপনা না থাকলে পোল্ট্রি খাতের আজকের যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন, সেটি সম্ভব হতো না। করোনা সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের সমস্যা মোকাবিলার জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে মানুষ আমিষ ও পুষ্টির যোগান পেতে পারে এবং খামারি ও উৎপাদকরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। এর নেপথ্যে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও নির্দেশনা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এভাবে রাষ্ট্র এগিয়ে চলেছে।

মন্ত্রী বলেন, জনগণের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পোল্ট্রি এমন একটি খাত যেখান থেকে আমরা মাংস ও ডিম পাচ্ছি। এ খাত থেকে খাবারের একটা বড় অংশের যোগান আসছে। পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে এ খাত। দেশের উন্নয়নে অন্যতম বড় খাত হবে পোল্ট্রি খাত-এ প্রত্যাশা করি।

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিম বলেন, গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গণমাধ্যমের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে যে সাংবাদিকরা কাজ করেন তাদের সবাইকে অ্যাওয়ার্ড দিতে না পারলেও তাদের মনে প্রাণে আমি ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি। তবে অপসাংবাদিকতার বিষয়েও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে সংবাদপত্র ক্যাটাগরিতে চারজন, টেলিভিশন ও রেডিও ক্যাটাগরিতে চারজন, বার্তা সংস্থা/অনলাইন ক্যাটাগরিতে একজন ও পোল্ট্রি/কৃষি বিষয়ক ম্যাগাজিন/অনলাইন ক্যাটাগরিতে একজন এবং প্রমিজিং পোল্ট্রি রিপোর্টার্স ক্যাটাগরিতে ১০ জন সাংবাদিককে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।  

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের সভাপতি মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ।  

অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল জব্বার শিকদার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল জলিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।